প্রথা ভেঙে সুকুমার সেনগুপ্তের জন্মশতবর্ষ পালন সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা সুকুমার সেনগুপ্তের জন্মশতবর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। এই উপলক্ষে আগামী এক বছর ধরে দুই মেদিনীপুর জেলা জুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। কমিউনিস্ট পার্টিতে সাধারণত প্রয়াত নেতাদের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মুজফফর আহমেদ (কাকাবাবু)। প্রয়াত এই নেতার জন্মদিন প্রতি বছর পালন করে সিপিএম। কিন্তু সুকুমার সেনগুপ্তের জন্মশতবর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত কেন? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “দলে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত।” তাঁর কথায়, “সুকুমারদা অবিভক্ত মেদিনীপুরে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। আমাদের পার্টিতে কারও জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালনের রেওয়াজ নেই, ঠিক। সুকুমারদার জীবনের নানা দিক মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তাঁর জন্মশতবর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |
|
অনুষ্ঠানে মৃদুল দে ও দীপক সরকার।—নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএমের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন সুকুমার সেনগুপ্ত। তাঁর জন্ম ১৯১৩ সালের ৫ নভেম্বর জন্ম। মৃত্যু ’৯৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। প্রয়াত এই নেতার স্মরণে প্রতি বছর স্মারকসভার আয়োজন করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। শুক্রবার এই স্মারকসভা হল মেদিনীপুরে। শহরের জেলা পরিষদ হলে আয়োজিত এই সভার মূল বক্তা ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃদুল দে। ‘একুশ শতকে সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন তিনি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃদুলবাবুর কথায়, “দুর্নীতি দমন করা না-গেলে সমাজতন্ত্রের বিপদ আসবেই। সংগ্রামকে প্রগতিশীল রূপ দিতে হবে।” বিরোধীদের আক্রমণ মোকাবিলা করে এগোনোর ডাক দেন দীপকবাবুও। তাঁর কথায়, “ভয়ঙ্কর আক্রমণ চলছে। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। আক্রমণের মুখে পড়েও সুকুমারদা শান্ত-অবিচল থাকতেন।” |
|