|
|
|
|
আইএনটিটিইউসি-র ফতোয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিটু সমর্থকদের কাজ না দেওয়ার ফতোয়া জারি করল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। রীতিমতো সংগঠনের প্যাডে তা জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকে। প্রশ্ন উঠেছে, খেটে খাওয়া মানুষের আবার দল কী? কেনই বা তাঁদের কাজ থেকে বাদ দিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন দিলীপ পাত্র, যিনি নিজেকে ডেবরা ব্লক আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “এতদিন সকলেই তো কাজ করছিলেন। আমরা বাধাও দিইনি। এখন দেখছি, সিটু সমর্থকেরাই আমাদের সমর্থকদের কাজে বাধা দিচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আমরাও চাই না গরিব মানুষের কাজ যাক। কিন্তু ওরা অন্য গরিবের ক্ষতি করলে, কী করতে পারি।” |
|
এই সেই বয়ান। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
যদিও এমন কোনও ঘটনার কথা জানেনই না তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রতন দে। তাঁর কথায়, “ব্লক সভাপতি হিসাবে আইএনটিটিইউসি-র কাজকর্মও আমারই দেখার কথা। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কে বা কেন নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” ডেবরা লোকাল কমিটির সম্পাদক সিটু নেতা কিঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের উপর অত্যাচার চলছে। লিখিত ভাবে এমন হওয়ায় গরিব মানুষেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।” ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সব প্রতিষ্ঠানে গাড়িতে করে পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে পণ্য সামগ্রী নামানো-ওঠানোর জন্য ১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। সেই ১২ জনের মধ্যে ৮ জন আইএনটিটিইউসি-র বলে দাবি দিলীপবাবুর। বাকি চার জন সিটুর। সেই চার জনকে কাজ না দেওয়ার জন্যই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। সংগঠনের প্যাডে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘আইএনটিটিইউসির শ্রমিক সদস্যরা একযোগে গাড়ির মাল লোড ও আনলোড-এর কাজ করিবে। সিটু সমর্থিত চার জনকে কোন মতো কাজে লাগানো যাবে না। যদি লাগানো হয় তবে আপনার মাল লোড ও আনলোডের কাজ বন্ধ থাকিবে।’ এই বয়ানের নীচে একদিকে আইএনটিটিইউসি-র ৮ জন সদস্যের নাম ও পাশে পাশে ৪ জন সিটু সদস্যের নামও উল্লেখ করা রয়েছে। সিটু সদস্যের নামে পাশে বড় হরফে লিখেও দেওয়া হয়েছে ‘যাদের কাজে লাগানো যাবে না’ কথাটা। |
|
|
|
|
|