|
|
|
|
কার র্যালির সৌজন্যে দ্রুত সড়ক সংস্কার উত্তর-পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন্যাবিধ্বস্ত অসমের একটা বড় অংশেই রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। কম-বেশি একই অবস্থা উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিরও। ৩৭, ৩৮, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হালও চষা খেতের মতো। অসম পূর্ত দফতরর সূত্রে খবর, দু’ মাস আগে বন্যার ধাক্কায় ভেঙে যাওয়া রাস্তা সারাতে ৩৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। অক্টোবরের মধ্যে পুরো টাকা হাতে এলে পরের বর্ষার আগে মেরামতির কাজ শেষ করে ফেলা যেত। কিন্তু, এখনও অবধি মাত্র ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরপর টেন্ডার ডেকে ঠিকা দিতে আরও দুই মাস কাটবে।
কিন্তু বিপরীত চিত্রও আছে। ‘আসিয়ান কার র্যালি’র সৌজন্যে তড়িঘড়ি করে গুয়াহাটি থেকে ইম্ফল অবধি রাস্তা সারানোর অর্থ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কেবল টাকা পাঠানোই নয়। রাস্তা সারাইয়ের কাজ কতদূর এগোচ্ছে তা জানতে দফায় দফায় ফোনও আসছে। বহুবার আবেদন-নিবেদন করেও যা মেলেনি, তা এক ধাক্কায় মেলায় রাজ্য সরকার খুশি হলেও, পূর্ত আধিকারিকদের ক্ষোভ, বন্যায় বিধ্বস্ত মাইলের পর মাইল এলাকার পথঘাট এখনও অগম্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
সেই দিকে সমান মনোযোগ দেওয়া হয় না কেন?
২৫ নভেম্বর জাকার্তায় ‘আসিয়ান কার র্যালি’ শুরু হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও মায়ানমার হয়ে মণিপুরে ঢুকবে ২১টি এক্সইউভি ৫০০ গাড়ি। ১১টি দেশের ১২৪ জন প্রতিযোগী এরপর নাগাল্যান্ড হয়ে গুয়াহাটি আসবেন ১৭ ডিসেম্বর। শেষ গন্তব্য, দিল্লি। পৌঁছনোর তারিখ ২০ ডিসেম্বর। প্রায় আট হাজার কিলোমিটারের এই গাড়ি দৌড়ে ভারতের অংশে মোরে থেকে কোহিমা, ডিমাপুর হয়ে গুয়াহাটি অবধি পথের বহু অংশ, অনেকদিন থেকেই ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। কিন্তু, র্যালির সৌজন্যে লহরিজান থেকে কলিয়াবরের রাস্তা সারাতে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ও মণিপুর-নাগাল্যান্ডের রাস্তায় ‘পট্টি’ বসাতে ২ কোটি টাকা একদিনের বৈঠকেই বরাদ্দ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেবল রাস্তা মেরামতিই নয়, রাস্তায় আলো বসানো ও ট্র্যাফিক চিহ্ন আঁকার কাজও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা হচ্ছে।
পূর্ত আধিকারিকদের একটা বড় অংশেরই বক্তব্য, ‘লুক-ইস্ট’ নীতির মোড়কে ভিনদেশের প্রতিযোগীদের সামনে কেবল ‘সাজানো’ অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডকে তুলে ধরে,এখানকার বাস্তব চিত্রটাকে ঢেকেঢুকে রাখার কেন্দ্রীয় নীতিই প্রকট হয়ে উঠল গাড়ি দৌড়ের হাত ধরে। |
|
|
|
|
|