|
|
|
|
বিহারে বরখাস্ত ১১০ অফিসার |
কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান প্রকল্পে দুর্নীতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের ১১০ জন অফিসারকে চাকরি থেকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ১২০ জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং ১৩০ জন অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছিল, বিহারে (২০০৬-২০১২ সময়কালে) এই গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে ৮ হাজার ১৮৯ কোটি টাকার মধ্যে ৭৩ শতাংশ কাজেই দুর্নীতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেই বিহার সরকার নড়েচড়ে বসে। তারপরেই গ্রামীণ বিকাশ দফতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়। তাতেই উঠে আসে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই সব অফিসার এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের নাম। তদন্তের পরে আপাতত ৩৮ জেলার ১১০ জন অফিসারকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার। গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী নীতীশ মিশ্র বলেন, “তদন্তে প্রমাণ হওয়ার পরে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ১১০ জন অফিসারকে চাকরি থেকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও সরকার থেকে ১২০ জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং ১৩০ জন অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।”
গ্রামের লোকের কর্মসংস্থানের জন্য এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রতি আর্থিক বর্ষে ১০০ দিনের কাজ করার সুযোগ থাকে। তাতে এই দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নেয়, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তাদের মজুরির টাকা দেওয়া হবে। তা নিয়েও অবশ্য কিছু বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, গ্রামের গরিবদের অধিকাংশের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই। এর মধ্যে বিকল্প হিসেবে গ্রামবাসীদের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার বিষয়টিও সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।
এই প্রকল্পের কাজে সরকার যে স্বচ্ছতা রাখতে চায় তা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এই প্রকল্পে স্বচ্ছতা মেনে আমরা কাজ করতে চাই। তাই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|