ত্রিফলা আলো নিয়ে বিতর্ককে কার্যত থোড়াই কেয়ার করে এ বার বস্তিতেও তা বসাতে উদ্যোগী হল পুরসভা। উদ্যোগ মূলত বস্তি বিভাগের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিংহের। তারকবাবু এন্টালি ওয়ার্কশপের দায়িত্বে থাকাকালীন ত্রিফলা নিয়ে বিতর্ক হয়। এর পরেই মেয়র পারিষদদের দফতর রদবদল হয়। এন্টালি ওয়ার্কশপ থেকে সরিয়ে তাঁকে বস্তি উন্নয়ন দফতর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বস্তি দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারকবাবু বলেন, “কলকাতাকে লন্ডন বানাতে হলে বস্তিকে বাদ দেওয়া যায় না।” তবে এই ত্রিফলা বাজার থেকে কিনতে হবে না। এন্টালি ওয়ার্কশপেই তা তৈরি হচ্ছে বলে তারকবাবু জানান। তিনি জানান, ওই আলোর প্রতি সেটের দাম ৬০০০ টাকা।
তারকবাবুর এই নয়া উদ্যোগে সায় দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এন্টালি ওয়ার্কশপের দায়িত্বে থাকাকালীন তারকবাবু ওই বাতিস্তম্ভের ডিজাইন দেখাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুরমন্ত্রীকে। ডিজাইন পছন্দও হয় ফিরহাদের। পরে নিজের নির্বাচনী এলাকার বস্তিতে ওই বাতিস্তম্ভ বসাতে বিধায়ক তহবিল থেকে ৬ লক্ষ টাকাও পুরসভায় পাঠান পুরমন্ত্রী। |
বস্তিতে এমন বাতিস্তম্ভ লাগানোয় মেয়র কি অনুমতি দিয়েছেন? মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার অনুমতির উপর নির্ভর করে না। সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদ উদ্যোগী হয়ে তা করতেই পারেন।” যদিও তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে মেয়র পারিষদে আলোচনা হওয়া দরকার। অতীনবাবু ওই দফতরের দায়িত্বে থাকাকালীন বস্তিতে নতুন বাতিস্তম্ভ লাগানোর প্রসঙ্গ উঠেছিল। মেয়রের কথায়, “সেই সময় বলেছিলাম এখন বস্তিতে আলো না লাগানোই ভাল।”
মেয়রের কাছে জানতে চাওয়া হয় পুরমন্ত্রী তো বস্তিতে আলো লাগানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন, তা হলে না লাগানোর প্রশ্ন উঠছে কেন?
মেয়রের জবাব, “ওই অনুদানের কথা আমি জানি না।” প্রশ্ন উঠছে, বস্তিতে বাতিস্তম্ভ লাগানোর প্রয়োজন কেন? আলো বিভাগের এক অফিসারের যুক্তি, “এখন শহরের বস্তিগুলোর সামনে ১০০ ওয়াটের বাতি জ্বালানো হয়। নতুন এই ত্রিফলায় তিনটি ১১ ওয়াটের সিএফএল বাতি লাগানো হবে। তাতে আলোর ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। এবং বিদ্যুতেরও সাশ্রয় হবে।”
তারকবাবু বলেন, “পুর-এলাকায় কত বস্তি আছে তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। ওই সব বস্তির কোথায় কোন কাজ বাকি তা-ও অফিসারদের জানাতে বলা হয়েছে।” |