শুধু আবাসন গড়ে মুনাফা করলেই হবে না। সামিল হতে হবে রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নেও। ঋণ জর্জরিত সরকারের থেকে সাহায্য পেতে বাড়িয়ে দিতে হবে পাল্টা সাহায্যের হাত। শুক্রবার মিলনমেলায় ‘বেঙ্গল বিল্ডস’-এর মঞ্চ থেকে নির্মাণ শিল্পের উদ্দেশে এই আর্জি জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আহ্বান জানালেন, সেতু, রাস্তা, স্কুল, হাসপাতালের মতো পরিকাঠামো নির্মাণে লগ্নি করার জন্য।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গল বিল্ডস-এরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘ফ্লোর এরিয়া রেশিও’ (এফএআর) বাড়ানোর আর্জি জানায় নির্মাণ শিল্পমহল। জমির পরিমাণের সঙ্গে বহুতলের মোট বর্গ ফুট জায়গার হিসেবকে বলে এফ এ আর। যা বাড়াতে অনুমোদন দিলে লাভের পরিমাণও বাড়ার সম্ভাবনা। এই দিন এ প্রসঙ্গেই পার্থবাবু বলেন, “এফএআর-এর সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে যুক্ত করতে হবে। আবাসনের পাশাপাশি রাস্তা, স্কুল ও হাসপাতালের মতো পরিকাঠামোও তৈরি করতে হবে। কারণ ঋণ জর্জরিত সরকারের তা তৈরির সামর্থ্য নেই।”
এফএআর নিয়ে অবশ্য আশার আলো দেখিয়েছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বেঙ্গল বিল্ডস-এ নির্মাণ সংস্থাগুলিকে তাঁর আশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত পরিকাঠামো সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সে জমির ঊর্দ্ধসীমা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আই আই টি খড়গপুর রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা অনুযায়ী, রাজারহাটে যে রাস্তা দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো যাচ্ছে সেখানে এফএআর অনেকটাই হতে পারে। খতিয়ে দেখা হবে কোথায় কী ভাবে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব।”
নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাই-এর মতেও পরিকাঠামো ছাড়া আবাসন তৈরি ব্যবসার দিক থেকেও লাভজনক নয়। সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী তারা। |