নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বাসিন্দাদের একাংশের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন’ জমিতে সরকারি নির্মাণের অভিযোগ উঠল ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ময়ূরেশ্বর থানার রাধানগর গ্রামের ঘটনা। যুগ্ম বিডিও অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই গ্রামের রাধানগর মৌজায় ২৯৮ দাগে একটি কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণের জন্য ‘মাইনোরিটি সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ প্রায় ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই নির্মাণ কাজ শুরু হলে আপত্তি জানান বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ ছিল, যে জমিতে ওই নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেটি তাঁদের। সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে তাঁরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেন। কিন্তু অভিযোগ, তারপরেও নির্মাণ কাজ থামায়নি ব্লক প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহে আলম শেখ, কেমেরুল শেখদের অভিযোগ, “আমাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে শুধু কবরস্থানে প্রাচীর তৈরিই নয়, বিতর্কিত জমির বাইরেও আরও কিছু উদ্বৃত্ত জমিও নির্মাণের ভেতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কবরস্থান লাগোয়া আমাদের জমিতে একটি বিশ্রামাগার তৈরিরও চেষ্টা চলছে।” লিখিত ভাবে বিডিওকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলেই তাঁরা দাবি করেছেন।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মলয় চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “কোনও ব্যক্তি মালিকাধীন জমিতে ওই নির্মাণ কাজ হচ্ছে না। ভূমি সংস্কার দফতরের কাছ থেকে নথিভুক্ত কবরস্থানের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগকারীদের আপত্তি জানার পর সব পক্ষকে নিয়ে মাপজোক করে কাজ শুরু করা হয়েছিল। তাঁর পাল্টা দাবি, “ওই সময় কোনও অভিযোগকারীই আর আপত্তি তোলেন নি। এখন কাজ প্রায় শেষ। এমন সময় ফের কেন আপত্তি উঠছে বুঝতে পারছি না!” বিশ্রামাগার নির্মিত হলে কবরস্থানের ঘেরা জায়গার ভেতরেই হবে বলে মলয়বাবুর দাবি। |