নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পড়শি দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সীমন্ত সেন (৪০)। দাদা বলদেব সেন পড়শি গোপাল সেন-সহ ১০ জনের নামে ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটির বানিওড় গ্রামের ঘটনা। খেলতে খেলতে ঝগড়া বেধেছিল পড়শি দুই বালকের মধ্যে। সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষ হয়। তাতে সীমন্ত সেন-সহ তাঁর পরিবারের তিনজন এবং গোপাল সেন-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচজন জখম হন। রাতেই রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় সীমন্তবাবুর। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গোপাল সেন পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, গোপাল পালিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন মূল অভিযুক্ত গোপাল সেন দাবি করেছিলেন, “সীমন্তের ছেলের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে খেলার সময়ে আমার ছেলের সঙ্গে মারামারি হয়েছিল। সীমন্তের ছেলে বয়সে বড়। সে আমার ছেলের গলা চেপে ধরেছিল। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই জন্য ওরা আমাদের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি। উল্টে সীমন্তের ভাইয়ের অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।”
যদিও মৃতের ভাই কালু সেন ও দাদা বলদেব সেন পাল্টা অভিযোগ করেন, “আমাদের বাড়ি থেকে সীমন্তের বাড়ি দূরে। বাচ্চাদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। কিন্তু গোপাল তার শ্বশুরবাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে এসে সীমন্তের মাথায় আঘাত করে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে এবং সীমন্ত মারা গিয়েছে এই ভেবে ওরা নিজেরাই নিজেদের শরীরে আঘাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়।” |