নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বার্ড ফ্লু-তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে উন্নত প্রজাতির মুরগি ছানা বিলির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। শুক্রবার ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট বিডিওকে এই অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপিও দিল।
জেলা কংগ্রেস নেতা সৈয়দ কাসাফদ্দোজা, ব্লক কংগ্রেস নেতা জাকির হোসেনদের অভিযোগ, “সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে বার্ড ফ্লু-তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে যে মুরগি ছানা দেওয়া হয়েছে তাতে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। ২৮ দিনের পরিবর্তে ৪-৫ দিনের মুরগির ছানা দেওয়া হয়েছে।” কংগ্রেস নেতা তথা ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ মদন দাসের আরও অভিযোগ, “প্রতিষেধক না দিয়েই ওই ছানাগুলিকে বিলি করা হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুরগি ছানা মারা যাচ্ছে।” এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে নতুন করে মুরগি ছানা বিলি ও তাদের জন্য ২৫০ ইউনিট পরিমাণ খাবার দেওয়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ১ বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর দাবি, “এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির থেকে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে কংগ্রেসের দাবি ও অভিযোগ খতিয়ে দেখব।” তিনি জানিয়েছেন, মুরগি ছানা বিলির পর পঞ্চায়েত প্রধান ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের ব্লক আধিকারিকের সার্টিফিকেট পেয়েই নির্ধারিত এজেন্সিকে টাকা মেটানো হয়েছে। ২৫০ ইউনিট খাবার বিলির বিষয়ে দরপত্র সংশোধন করা হয়েছে। বার্ড ফ্লু-তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে মুরগি ছানা বিলির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ৬৭ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এ দিনই বিডিও-র কাছে কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে চাষিরা যেন সহজেই সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেন। বোরো ধান চাষে জল দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে বিডিও সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ইন্দিরা আবাস, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিশ্বনাথবাবু বলেন, “সরকারি পদ্ধতি মেনেই যাবতীয় কাজ চলছে।” |