স্কুলভোট নিয়ে অশান্তি ভাতারে |
স্কুল নির্বাচনের দিন ভাতারের বলগনা শুশুনদিঘি হাইস্কুলের চার শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল। শুক্রবারের ঘটনা। যদিও এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ পাঁচ জনই ফিরে এসেছেন। তাঁদের নাম দিলীপকুমার ভট্টাচার্য, তপন দাস, শুভঙ্কর রানা, পিয়ালি দাস ও আব্দুল ওদুদ। প্রথম চার জন স্কুলের শিক্ষক। আব্দুল শিক্ষাকর্মী। প্রধান শিক্ষক সরোজ কুণ্ডুও প্রহৃত হন বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। প্রধান শিক্ষকের উপরে হামলার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ‘অপহৃত’ পাঁচ জনই সিপিএমের শিক্ষা সংগঠন এবিটিএ-র কর্মী বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সিপিএমের ভাতার জোনাল কমিটির সম্পাদক বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ওই স্কুলে এ দিন ছিল পরিচালন সমিতির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি নির্বাচন। তাতে এবিটিএ জিতবে বুঝতে পেরেই তৃণমূলের এক দল লোক ওই পাঁচ জন ট্রেন থেকে নামতেই তাঁদের জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে প্রধান শিক্ষক সরোজ কুণ্ডুর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে দিয়ে জোর করে লেখাতে চেষ্টা করে, নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা জিতেছেন। মারধরের জেরে প্রধান শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক অলোক দাসের বক্তব্য, “ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে ওই কাজ আমাদের লোকেরা করবে না বলেই মনে হয়।” পরে অবশ্য ভোট হয়। মাত্র ১০ জন ভোট দিয়েছেন। তবে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
|
এসএফআই আক্রান্ত কলেজে, নালিশ নেতার |
হাইকোর্টের রায়ে সম্প্রতি সমস্ত কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামবে এসএফআই। শুক্রবার জেলা দফতরে আয়োজিত এক বৈঠকে এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে বলেন, “এই নির্দেশ গণতন্ত্রবিরোধী। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামব।’’ তাঁর অভিযোগ, “লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ২০১১ সালের পর থেকে জেলার ১৮টি কলেজের ছাত্র সংসদ জোর করে দখল করেছে টিএমসিপি। ১৯৭ জন এসএফআই সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁরা পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারেননি। ২৩ জন এসএফআই সমর্থকের অ্যাডমিট কার্ড ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও পরীক্ষা দিতে পারেননি। শুধু বর্ধমান রাজ-কলেজে ৭৭ জন সংগঠনের সমর্থক প্রহৃত হয়েছেন। নানা কলেজে তাঁদের ঢুকতেই বাধা দেওয়া হয়েছে। বিবেকান্দ কলেজ, রাজকলেজ, হাটগোবিন্দপুর, মেমারি ইত্যাদি কলেজে টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের অনার্স পাইয়ে দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। হস্টেলে থাকতে গেলেও টাকা দিতে হচ্ছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অশোক রুদ্রের দাবি, “কোথাও এসএফআই প্রার্থী দিতে পারছে না। তাই আমাদের প্রার্থীদের বড় অংশই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু বালকের, জি টি রোড অবরোধ |
দুর্ঘটনায় বালকের মৃত্যু জেরে ঘণ্টা দুয়েক জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার বর্ধমানের গোদার কাছে জিটি রোড বাইপাসে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বালকের নাম সানি বাউরি (৫)। বাড়ি স্থানীয় কাটরাপোতায়। মৃতের বাবা প্রসূন বাউরি দাবি করেন, রাস্তার পাশে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের। দুর্ঘটনার পরে প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তায় বালকের দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। অবরোধে আটকে পড়া কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, ওই জায়গায় একটি ট্রাফিক পোস্ট বসাতে হবে। পুলিশ গিয়ে দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
বেআইনি পোস্তর খোল উদ্ধার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। ধৃতদের নাম গিয়াসুদ্দিন আহমেদ, নিমাই মাঝি ও হাফিজুল শেখ। প্রথম জনের বাড়ি মঙ্গলকোটের মাধপুর, নিমাইয়ের মঙ্গলকোটের জয়কৃষ্ণপুর, হাফিজুলের বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদিঘিতে। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টহলদার পুলিশ নম্বরপ্লেট বিহীন একটি গাড়ি আটক করে। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মেলে প্রায় ১ কুইন্ট্যাল। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
|
পড়শি দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল সীমন্ত সেন (৪০) নামে এক ব্যক্তির। বীরভূমের নলহাটির বানিওড় গ্রামে শুক্রবারের এই ঘটনায় ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। |