নালিশ কম ক্ষতিপূরণে
বারবিশায় চার লেনের মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করলেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউসে এ নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন ডিভিশনাল কমিশনার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরাও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের নিয়ম মানেননি। এ নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেন। ক্ষতিপূরণ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কয়েক জায়গায় ফোর-লেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। অসম বাংলা সীমানার বারবিশা থেকে মহাকালগুড়ি পর্যন্ত ২০০৫ সালে ফোর-লেনের জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে পনেরো মিটার করে দুপাশে জমি নেওয়া হয়। পরে ২০১০ সালে ফের আট মিটার করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজার মূল্যের চেয়ে কম টাকা তাঁদের দেওয়া হচ্ছে এবং বাড়ি বা দোকান ভাঙার কোনো রকম ক্ষতিপূরণ দিতে চাইছেন না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এ দিন ডিভিশনাল কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনও কথা বলতে চাননি। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় জানান, বারবিশার ফোর-লেনের অধিগৃহীত জমির ক্ষতি পূরণ নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সে জন্য বৃহস্পতিবার ডিভিশনাল কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনেন। অভিযোগকারীদের আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ জাতীয় সড়ক করার জন্য জমির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধি মানেননি। জমির বাজার মূলের চেয়ে অনেক কম টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই ২০১০ সালে বাকি জমি অধিগ্রহণের সময়ে ক্ষতিপূরণের চেক নেননি জমির মালিকরা। বিষয়টি নিয়ে আগস্ট মাসে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাসিন্দারা। সৌরভবাবু বলেন, “আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলাম। হাইকোর্টের তরফে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আরবিট্রেটরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক রতন চন্দ্র পন্ডিত জানান, এলাকার বহু বাসিন্দার জমি বাড়ি ও দোকান মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু দোকান ঘর কিংবা বাড়ি ভাঙার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর পাল বলেন “২০০৫ সালে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ১৫ ডেসিমেল জমি নেয়। সেই সময় জমির দাম প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ডেসিমেল ছিল। তখন আমাদের মাত্র ২১ হাজার ১২০ টাকা প্রতি ডেসিমেল দেওয়া হয়। ২০১০ সালে ফের ৮ ডেসিমেল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই সময় স্থানীয় বাজার দর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ডেসিমেল। সেই সময় মাত্র ১৮ হাজার ৪২০ টাকা ডেসিমেল হিসবে চেক পাঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, জমিদাতারা চেক নেননি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ সরকারি নীতি মেনেই হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.