পুলিশের কাজে বাধা দান, মারধরের অভিযোগে দুই আইনজীবী ও দু’জন গাড়িচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। ধৃত ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের ওই দুই আইনজীবী অরিন্দম হালদার ও পীতবাস মণ্ডল এবং দুই গাড়িচালক ইসলাম মোল্লা ও দিবাকর হালদারকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিনে মুক্তি দেন। এ দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপের সমস্ত আদালতে লাগাতর কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) অলোক রাজুরিয়া বলেন, “ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম এবং পীতবাসবাবু গাড়িতে করে থানায় যান একটি বিষয়ে অভিযোগ জানাতে। তাঁদের দাবি, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। ডায়মন্ড হারবার আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অভিযোগ না নিয়ে উল্টে পুলিশ ওই দুই আইনজীবীকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ বেধড়ক মারধর করে লকআপে ঢুকিয়ে দেয়। পরে কোমরে দড়ি বেঁধে চিকিৎসার জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন ওই দুই আইনজীবীর প্রতি পুলিশ এমন আচরণ করল সে বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। সেই সঙ্গে লাগাতর কর্মবিরতিরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
যদিও পুলিশের দাবি, আইনজীবীদের অভিযোগ সত্য নয়। তাদের বক্তব্য, ডায়মন্ড হারবার থানার এসআই সফিকুল ইসলাম ও গাড়ির চালক মস্তাপ মোল্লা রাতে থানার সামনে খেতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকা ওই দু’জনের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। ওরা দলে ৬ জন ছিল। সকলে মিলে এসআই ও চালককে মারধর করে। জখম হন আরও চার পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় থানায়। চারজনকে ধরা গেলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ দিকে আচমকা কর্মবিরতির জেরে আদালতে আসা লোকজন এ দিন চরম সমস্যায় পড়েন। |