রাস্তার দূরবস্থা নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সেই ক্ষোভ সামলাতে দিন কয়েক আগে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা সংস্কারের কাজও শুরু হয়। কিন্তু সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। সেটা হল নিম্ন মানের জিনিস দিয়ে রাস্তা সারানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেলিকপ্টার মোড় থেকে থুমকাটি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা নিয়েই দেখা দিয়েছে এই সমস্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সারানো না হওয়ায় ক্রমশই চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল ক্যানিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি। স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত নস্কর বলেন, “থুমকাটি, মিঠাখালি, হাইস্কুল পাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল।” |
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ বৈদ্য, সঙ্গীতা বিশ্বাসের অভিযোগ, “রাস্তা সংস্কারের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু যে ভাবে সংস্কার করা হল তাতে কোনও লাভই হল না। রাস্তা সংস্কারের সময় কিছু জায়গায় ইট ও কিছু জায়গায় পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই পিচ উঠে যেতে শুরু করেছে। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তা হলে সামনের বর্ষা যে কী হবে তা তো বোঝাই যাচ্ছে। রাস্তা বলে আর কিছু থাকবে না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকার কারণেই দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের মানের কোনও নজর দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান উত্তম দাস বলেন, “স্থানীয় যে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে ছিল তারা ঠিকমত কাজ করেনি। এ নিয়ে এই নিয়ে অভিযোগও ওঠায় আমরা ওই সংস্থার জিনিসপত্র আটকে রেখেছি। অবিলম্বে ঠিক করে রাস্তা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।” যদিও রাস্তা সারানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ঠিকাদার বলেন, “যে রকম কাজের বরাত পেয়েছি সেই ভাবেই কাজ করেছি।” ক্যানিংয়ের পূর্ত দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যে রকম টাকা এসেছে সেই ভাবেই কাজ করা হয়েছে। বাকি কাজও শীঘ্রই শেষ করা হবে।” |