টুকরো খবর |
শান্তি কমিটি গড়ল তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত কয়েকদিন ধরে সবংয়ের দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসা, কোলন্দা, বাঙালদাড়ি ও তার আশপাশ এলাকায় কংগ্রেস- সিপিএম সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে শান্তি কমিটি গড়ল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুই মেদিনীপুরের কয়েকজন তৃণমূল নেতা দশগ্রামে এক বৈঠক করে এই কমিটি তৈরি করেন। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল নেতা মৃণালকান্তি দাস, দলের পটাশপুর ১ ব্লক সভাপতি তাপস মাঝি, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি, দলের সবং ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি, নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ প্রমুখ। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, যে এলাকায় গোলমাল চলছে, সেটি দুই মেদিনীপুরের সীমানা লাগোয়া এলাকা। তাই দুই জেলা দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কমিটির কনভেনর হয়েছেন অমূল্যবাবু। কেন এই কমিটি? অমূল্যবাবু বলেন, “ওই সব এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। গোলমাল বাধছে। অশান্তির জেরে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেই আমরা শান্তি কমিটি তৈরি করেছি।” তৃণমূলের এই কমিটি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস- সিপিএম। কংগ্রেসের সবং ব্লক সভাপতি অমল পন্ডার মন্তব্য, “শুধু দশগ্রামে কেন, পুরো বাংলায় বরং ওরা শান্তি কমিটি তৈরি করুক।” তাঁর কথায়, “তৃণমূলের লোকেরা তৃণমূলের লোকেদের হাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন। আসলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই ওরা এমন কমিটি তৈরি করেছে।” আর সিপিএমের সবং জোনাল কমিটির সম্পাদক অমলেশ বসুর বক্তব্য, “ওখানে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও গোলমাল হয়েছে বলে জানা নেই। কীসের জন্য এই কমিটি তা ওরাই বলতে পারবে।” |
প্রতারণার অভিযোগে ধৃত হলদিয়া বন্দরের কর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া বন্দরের আধিকারিক রমাকান্ত বর্মনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে লেক টাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তিনি হলদিয়া ডক অফিসার্স ফোরামের সম্পাদকও। রমাকান্তবাবু এ দিনই আদালত থেকে জামিন পান। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আছে। রমাকান্তর বক্তব্য, হলদিয়ায় এবিজি-র পক্ষে মুখ খোলার জন্যই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২০০৬-এ লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে ৩৯ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন রমাকান্তবাবু। পাঁচ বছর পরে, ২০১১-য় ফ্ল্যাটের প্রোমোটার সুরেশ পোদ্দার পুলিশে অভিযোগ করেন, রমাকান্তবাবু ১৫ লক্ষর বেশি দেননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে ধরে। রমাকান্তর দাবি, “ওই ফ্ল্যাটটি ভাইয়ের। হলদিয়াতেই থাকি। কলকাতায় কাজে এলে ভাইয়ের ফ্ল্যাটে উঠি।” প্রোমোটার সুরেশবাবু এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। |
নদীতে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
লঞ্চ থেকে নামার সময় পা পিছলে হুগলি নদীতে তলিয়ে গেলেন এক বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার কুকড়াহাটি খেয়াঘাটে। পুলিশ জানিয়েছে বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ লঞ্চ থেকে নামছিলেন ওই বৃদ্ধ। হঠাৎই পা পিছলে তিনি নদীতে পড়ে যান। ঘাটের মাঝিরা তল্লাশি করলেও দেহ মেলেনি। বেলা ১১টা নাগাদ ঘাটে পৌঁছায় সুতাহাটা থানার পুলিশ। উদ্ধারের জন্য আসে হলদিয়া উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রায় ২৫ জন জওয়ান-সহ একটি হোভারক্র্যাফট। শুরু হয় ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ। তবে বেলা তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চললেও উদ্ধার হয়নি দেহ। কুকড়াহাটি খেয়াঘাটের রায়চক-কুকড়াহাটি রুটের ফেরি পরিষেবার ম্যানেজার রাধেশ্যাম দাস বলেন,“আমরা খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলাম। ওই বৃদ্ধ একা থাকায় পরিচয় জানা যায়নি।” |
বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রায় আড়াই মাস নিখোঁজ থাকার পর ধানখেত থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধের পচাগলা দেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে হলদিয়ার তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত ভুঁইয়া(৬৮)। বৃহস্পতিবার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে এলাকার চাষিরা দুর্গন্ধ পান। খবর পেয়ে ভবানীপুর থানার পুলিশ এসে পচাগলা ওই দেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহের পরনের প্যান্ট দেখে শনাক্ত করেন নিখোঁজ ওই বৃদ্ধের ছেলে রঞ্জিত ভুঁইয়া। পুলিশ দেহটি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর লক্ষ্মীকান্তবাবু কাজ না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। |
যুব কর্মী সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার এক কর্মী সম্মেলন হল কেশপুরে। এদিন দুপুরে কেশপুর অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের কেশপুর কেশপুর ব্লক সভাপতি শ্যামল আচার্য প্রমুখ। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই সম্মেলন বলে দলীয় সূত্রে খবর। বুথ স্তরে যুব সংগঠনে যাঁরা নেতৃত্ব দেন, সম্মেলনে তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত সকলেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমকে শূন্য হাতে ফেরানোর ডাক দেন। নেতৃত্বের বক্তব্য, কেশপুরে শান্তি ফিরেছে। এই পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেশপুরের মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সন্ত্রাস হয়েছে। এ বার তার জবাব দিতে হবে।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু বৃদ্ধের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার চকদ্বীপায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আবু বক্কর মালিদা (৮০)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি মাঠে আবু বক্কর মালিদা বসেছিলেন। সে সময়ই মাঠে ঘুরতে থাকা একটি পিক-আপ ভ্যান ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। গাড়ির চালক পলাতক। ভবানীপুর থানার পুলিশ পিক-আপ ভ্যানটি আটক করে চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চালক গাড়ি চালানো শিখছিলেন সবে। তাই সহজেই নিয়ন্ত্রণ হারান। |
সিএমওইচকে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কাঁথি ৩-এর বিএমওএইচ বিক্রম পণ্ডাকে শো-কজের ঘটনায় খোদ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাই ক্ষুব্ধ। শো-কজের আগে বা পরে পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ কালিদাস দত্ত স্বাস্থ্য দফতরে কিছু জানাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপতী বলেন, “স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসাবে কালিদাসবাবু শো-কজ করতে পারেন, কিন্তু সেটা তো আমাদের জানাতে হবে। তা ছাড়া, বিক্রমবাবু যে কারণে অনুপস্থিত ছিলেন সেটা তো ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভাল-র জন্যই। এক্ষেত্রে তাঁকে উৎসাহ দেওয়ার বদলে শোক-জ করা হবে কেন?” স্বাস্থ্য অধিকর্তা আরও জানান, শো-কজের কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য কালিদাসবাবুকে স্বাস্থ্যভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। |
|