|
|
|
|
হলদিয়ার বার্থে বরাত স্থগিত স্বচ্ছতা-প্রশ্নে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্বচ্ছতার প্রশ্নে অছিদের মধ্যে মতপার্থক্য হওয়ায় হলদিয়ার চার-বি বার্থে পণ্য খালাসের বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া আটকে গেল।
যে ভাবে টেন্ডার হচ্ছে, তাতে বন্দরের আর্থিক ক্ষতি হবে এমন প্রশ্ন তুলে চিঠি পাঠিয়েছিল ভিজিল্যান্স কমিশন। বৃহস্পতিবার অছি পরিষদের বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই বলেন, “জাহাজ মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিয়ে তবেই ওই বার্থে পণ্য খালাসের বরাত দেওয়া হোক। কোনও ভাবেই বন্দরের আর্থিক ক্ষতি করে পণ্য খালাসের কাজ দেওয়া যাবে না।”
বন্দর সূত্রের খবর, এ দিন অছি পরিষদের বৈঠকে হলদিয়ার চার-বি বার্থে পণ্য খালাসের বরাত দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। তাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই বার্থে এবিজি-র মতো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জাহাজ থেকে পণ্য নামিয়ে তা একেবারে বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা থাকছে না। মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে কেবল মাত্র জাহাজ থেকে বার্থে পণ্য নামিয়ে দেওয়া হবে। অন্য হ্যান্ডলিং এজেন্ট তা বন্দরের বাইরে পাঠাবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার এক সাংসদের সংস্থা বার্থ থেকে পণ্য বন্দরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার একচেটিয়া কারবার করে।
এ দিন প্রস্তাবটি পেশ হতেই কয়েক জন অছি তা পাশ করে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। কিন্তু নৌবাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা আপত্তি তোলেন। তাঁরা বলেন, ভিজিল্যান্স থেকে এ নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন উঠেছে, তখন আরও আলোচনা হোক। অধিকাংশ অছিই এই মত সমর্থন করায় পিছিয়ে আসেন বন্দরের চেয়ারম্যান মনীশ জৈন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ফের বৈঠক ডেকে এ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি।
চার-বি বার্থের টেন্ডার নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি চেয়ারম্যান। বন্দরের এক মুখপাত্র জানান, বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ইডেন চ্যানেলে ভেসেল চলাচল আবার শুরু হবে। দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া আটকে ছিল। ইডেন চ্যানেল পুরোপুরি খুলে দেওয়া হলে হলদিয়ার নাব্যতার সমস্যা অনেকটা ঠেকানো সম্ভব বলে বন্দর কর্তাদের দাবি। এ ছাড়া, কলকাতার ৫ নম্বর নেতাজি সুভাষ ডকে মোবাইল হারবার ক্রেন বসানোর বরাত দেওয়া হয়েছে এবিজি-কেই। এবিজি একটি বাক্স জাহাজ থেকে নামাতে ১৪৬৫ টাকা নেবে। ডকের ৪, ৮ নম্বর বার্থেও এবিজি-র ক্রেন রয়েছে। সেখানে তারা একটি বাক্স নামাতে ১০৭৮ টাকা নিয়ে থাকে। ৫ নম্বর ডকে তাদের কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে বলেই বাড়তি টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বন্দরের মুখপাত্র জানান, এবিজি শর্তসাপেক্ষেই বরাত পাচ্ছে। কারণ, তাদেরই সংস্থা হলদিয়া বাল্ক টার্মিনাল (এইচবিটি) বন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় এইচবিটি-কে কালো তালিকাভুক্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্দরের কিছু শর্ত মেনেই এবিজি-কে কাজ করতে হবে। |
|
|
|
|
|