|
|
|
|
সিদ্ধান্ত পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে |
অবশেষে চাল বিলির তোড়জোড় খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খরার জন্য বিশেষ ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ হয়েছিল চাল। বেশ কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন পুরসভা এবং ব্লকে চাল চলে এসেছিল। তা বিলি শুরুও হয়। খড়্গপুর পুরসভা অবশ্য সব চাল বিলি করতে পারেনি। বরাদ্দ প্রায় ২০ হাজার কুইন্টাল চালের মধ্যে এখনও পড়ে রয়েছে ৪ হাজার ৯০০ কুইন্টাল চাল। কয়েক মাস ধরে বরাদ্দ চাল পড়ে থাকায় একাংশ কাউন্সিলরের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। গরিব মানুষও সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। অবশেষে পড়ে থাকা চাল বিলি করার সিদ্ধান্ত নিল খড়্গপুর পুরসভা। বৃহস্পতিবার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খড়্গপুরের ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী বলেন, “কয়েক মাস আগেই খরা ত্রাণের চাল এসেছিল। প্রায় ২০ হাজার কুইন্টাল চাল বরাদ্দ হয়। শুরুতে সেই চাল বিলি করাও হয়েছিল। তবে পুরো চাল বিলি করা সম্ভব হয়নি। এ বার ওই চাল বিলি করা হবে। কী ভাবে করা হবে, তা খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে।” তুষারবাবুর আশ্বাস, “ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পড়ে থাকা চাল বিলির চেষ্টা চলছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুর পুরসভার বোর্ড মিটিং হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ৭ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ইও) বাসুদেব পাল-সহ ৬ জন কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন ধরে চাল পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “আগেই এই চাল বিলি করা উচিত ছিল। তবে পুর কর্তৃপক্ষ তা করেননি। এর ফলে শহরের গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।” প্রত্যাশিত ভাবেই এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দেয়নি কংগ্রেস। আসেননি বিজেপি কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারীও। কংগ্রেস আগেই মিটিং বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের বক্তব্য, ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান এ ভাবে বোর্ড মিটিং ডাকতে পারেন না। তুষারবাবুর অবশ্য দাবি, বৈধ ভাবেই মিটিং হয়েছে। ৩৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর উপস্থিত থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়নি। চাল বিলির সিদ্ধান্ত ছাড়াও এ দিন কিছু উন্নয়নমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপপুরপ্রধান। |
|
|
|
|
|