|
|
|
|
খড়্গপুর কলেজে চাপানউতোর |
টিএমসিপির প্রতিবাদ, পাল্টা তোপ সিপিরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এসএফআই-ছাত্র পরিষদের (সিপি) আঁতাতের প্রতিবাদে খড়্গপুর কলেজের সামনে সভা করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের খড়্গপুর শহর সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, টিএমসিপির জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরি। সভায় রমাপ্রসাদ বলেন, “খড়্গপুর কলেজের ছাত্র সংসদ গঠনে এসএফআইয়ের সঙ্গে আঁতাত করেছিল সিপি। আমাদের প্রতিবাদ, এই গোপন বোঝাপড়ার বিরুদ্ধে। সংসদ নির্বাচনের আগে যদি ওরা হাত মেলাত, তাহলে আমরা প্রতিবাদ করতাম না।”
খড়্গপুর কলেজের এই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর কলেজের সামনেও মিছিল করে টিএমসিপি। গত ১২ অক্টোবর খড়্গপুর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়। কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ৬৬টি আসনের মধ্যে টিএমসিপি পেয়েছে ৩০টি। এসএফআই ২৬টি, সিপি ৫টি এবং ডিএসও ৫টি। প্রথমে ১৮ অক্টোবর সংসদ গঠনের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। তবে তার আগেই গোলমাল বাধে। |
|
তৃণমূলের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র। |
টিএমসিপি বচসায় জড়ায় এসএফআইয়ের সঙ্গে। ফলে সংসদ গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। পরে ২৭ নভেম্বর সংসদ গঠন হবে বলে ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই মতো গত মঙ্গলবার সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া হয়। গোপন ব্যালটে ভোটাভুটি হয়। ডিএসও তাতে যোগ দেয়নি। এসএফআইয়ের ২৫ জন, সিপির ৫ জন, টিএমসিপির ৩০ জন ভোট দেন। ভোটাভুটি শেষে দেখা যায়, সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ ১১টি পদেই টাই হয়েছে। এসএফআই-টিএমসিপি, দু’পক্ষের প্রার্থীরাই ৩০টি করে ভোট পেয়েছেন। বাকি ৭টিতে জেতেন টিএমসিপি প্রার্থীরা। জয়ের ব্যবধান ৩১-২৯। এর পরই সংসদ গঠনে এসএফআই-সিপি আঁতাতের অভিযোগ তোলে টিএমসিপি।
সিপি’র পাল্টা অভিযোগ, টিএমসিপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলে। বৃহস্পতিবারের সভায় টিএমসিপি যে অভিযোগ করেছে তা খারিজ করে সিপির জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “আমাদের সঙ্গে কারও আঁতাত নেই।” তাঁর মন্তব্য, “সবং কলেজ, মেদিনীপুর কমার্স কলেজে টিএমসিপি প্রত্যক্ষ- পরোক্ষ ভাবে কাদের (এসএফআই) সহযোগিতা করেছে, সহযোগিতা নিয়েছে, তা ছাত্রছাত্রীরা জানেন। তাই ওদের মুখে আঁতাতের অভিযোগ মানায় না।” |
|
|
|
|
|