পদ আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় আরামবাগ ব্লকের সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। ফলে, ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ নির্বাহী সহায়ক এবং পঞ্চায়েত সচিব পদে বছর খানেক ধরে কেউ নেই। বর্তমানে ওই পঞ্চায়েতে সরকারি কর্মী বলতে দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং এক জন সহায়ক রয়েছেন। এক জন চুক্তিতে ‘নির্মাণ সহায়ক’-এর কাজ চালাচ্ছেন।
পঞ্চায়েত কর্মীদের দাবি, এই পরিকাঠামোয় গ্রামবাসীদের পরিষেবা দেওয়া একদমই সম্ভব নয়। থমকে গিয়েছে নানা প্রকল্প। কোনও রকমে চলছে একশো দিনের কাজ। পরিস্থিতি সামলাতে আরামবাগ ব্লকের মলয়পুর ১ পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক ও মায়াপুর-২ পঞ্চায়েতের সচিবকে সপ্তাহে দু’দিন করে ওই পঞ্চায়েতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, সপ্তাহে দু’দিন আসার কথা থাকলেও ওই দুই ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি সপ্তাহে মাত্র এক দিন করে আসছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েত-সহ গোটা মহকুমার মোট ৬৩টি পঞ্চায়েতই বামফ্রন্টের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে সালেপুর-১ পঞ্চায়েতটি সিপিআইয়ের। বাকিগুলি সিপিএমের।
সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান পরিণীতা বাগ বলেন, “পঞ্চায়েতের বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে প্রধানের সঙ্গে নির্বাহী সহায়কের সইয়ের প্রয়োজন হয়। ওই পদে কোনও স্থায়ী আধিকারিককে না পেলে কাজে গতি আসবে না। এ ছাড়াও উন্নয়নের রূপরেখা বানানো, ক্যাশবুক লেখা, মিটিং ডাকা-সহ নানা কাজে আধিকারিকদের নিয়মিত প্রয়োজন হয়।” পঞ্চায়েতের এই অচলাবস্থা নিয়ে আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনে জানানো হয়েছে। ঐ পদগুলি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নিয়োগ করে।’’ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক সুজয় সিকদার বলেন, “শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। শূন্য পদগুলির বিষয়ে বিডিও-র কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই লোক নেওয়া হবে।” |