|
|
|
|
পাওয়া গেল না জমি, সিঙ্গুর থেকে সরলো রেলের হিমঘরও |
অনমিত্র সেনগুপ্ত • নয়াদিল্লি |
জমি জটে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক হিমঘরটি পাওয়ার সুযোগ হারাল সিঙ্গুর। পরিবর্তে ওই প্রকল্পটি হচ্ছে ডানকুনিতে রেলের জমিতে। প্রায় ৫০০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সর্বাধুনিক ওই হিমঘরটি আগামী বছরের মধ্যেই নির্মাণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রেল।
সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ের পর ওই এলাকার জন্য একাধিক রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় ছিল, বিতর্কিত ৪০০ একর জমিতে রেল কোচ কারখানা থেকে কিষাণ ভিশান প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক হিমঘরও। আইনি সমস্যায় সিঙ্গুরের জমি জট এখনও কাটেনি। ফলে রেল কোচ কারখানা বিশ বাঁও জলে। এখন অত্যাধুনিক হিমঘরটিও সিঙ্গুর থেকে সরে গেল ডানকুনিতে। এটি নির্মাণ করবে রেলেরই অধীনস্থ সংস্থা সেন্ট্রাল রেলসাইড ওয়্যারহাউস (সিআরডব্লিউসি)।
রেল সূত্রের খবর, এক লপ্তে ছয় বিঘা জমি না পাওয়ায় কারণেই সিঙ্গুরের নাম বাতিল করা হল। পরিবর্তে বেছে নেওয়া হয় ডানকুনিকে। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে সিআরডব্লিউসি। গোটা দেশে এই ধরনের মোট কুড়িটি কেন্দ্র গড়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমেদাবাদ, ভুবনেশ্বর, নাসিক-সহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র তৈরি হওয়ার কথা। তার মধ্যে প্রথমটি নির্মাণ হতে চলেছে ডানকুনিতে। বহুতল ওই কেন্দ্রটিতে একই সঙ্গে মাছ, আনাজ, ফুল, খাদ্যশস্য বা ফল সংরক্ষণ করা যাবে।
সংস্থার বক্তব্য, সিঙ্গুরের পরিবর্তে ডানকুনিকে বেছে নেওয়ার পিছনে আরও কারণ রয়েছে। সিঙ্গুরের তুলনায় ডানকুনিতে ব্যবসার সম্ভবনা অনেক বেশি বলে মনে করছে সংস্থা। সিআরডাবলুসি অধিকর্তা বিনোদ অস্থানার বক্তব্য, “এমন একটি জায়াগায় ওই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা দরকার, যেখানে ব্যবসা রয়েছে বা ভবিষ্যতে হবে। হুগলি জেলায় কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন সন্তোষজনক। রেল ও সড়ক পথে ডানকুনির দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত। ফলে হুগলি ও সংলগ্ন জেলার কৃষকেরা এই কেন্দ্রের সুবিধা নিতে পারবেন।” মন্ত্রকের বক্তব্য, পূর্ব পণ্যবাহী করিডরও ডানকুনির উপর দিয়ে যাবে। রেল মন্ত্রকের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী ২০২০-২১ সালের মধ্যে পূর্ব করিডরের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ন’কোটি টন পণ্য পরিবহণ হবে। যার একটি বড় অংশ ধরতে ওই অত্যাধুনিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমানে গোটা দেশে গড় জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ১৫ শতাংশ পণ্য পরিবহণের পিছনে খরচ হয়। এই বাড়তি খরচ কমাতেই যোজনা কমিশন রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বড় মাপের ওয়্যারহাউস বা গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সিআরডব্লিউসি জানিয়েছে, গোটা দেশে মোট ৩০ লক্ষ টন ক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ বার অত্যাধুনিক হিমঘর নির্মাণে হাত দিয়েছে সংস্থাটি। |
|
|
|
|
|