|
|
|
|
আইন সংশোধন নিয়েই বেশি চিন্তা কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভোটাভুটিতে সায় দিলেও রাজ্যসভার জোড়া ধাক্কা সামলানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মনমোহন সিংহ সরকারের কাছে।
আগামী সপ্তাহে লোকসভা ও পরে রাজ্যসভায় খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে ভোটাভুটি হবে। আর তার পরে বিদেশি লগ্নির জন্যই বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের (ফেমা) সংশোধনী সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করাতে হবে সরকারকে। সেখানেও ভোটাভুটি চাইছে বাম-বিজেপি। কেন্দ্র মনে করছে, প্রথম বিতর্কে লোকসভায় জেতার পরে রাজ্যসভায় হার হতে পারে। কিন্তু, তা হলেও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি রূপায়ণ নিয়ে সমস্যা হবে না। কারণ, এটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু, ফেমা সংশোধন যদি কোনও কক্ষে আটকে যায়, তা হলে ধাক্কা খাবে বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্তটি। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ কেন্দ্র। কিন্তু, রাজ্যসভায় পরিস্থিতি ততটা সহজ নয় বলে কবুল করছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে ভরসা ভালো বন্ধু মুলায়ম ও মায়াবতী। মুলায়মের সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব আজ সকালে বলেন, বিদেশি লগ্নি নিয়ে রাজ্যসভায় সরকারের বিপক্ষে ভোট দেবেন তাঁরা। কিন্তু পরে স্বয়ং মুলায়ম বলেন, তাঁরা খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধী। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে, রাজনীতিতে তা আগে বলা সম্ভব নয়।
সরকার তলে তলে মুলায়ম- মায়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তারা চায়, মুলায়মের দল দু’টি ক্ষেত্রেই দুই সভায় ভোটদানে বিরত থাক। আর মায়াবতীর দল ভোট দিক কেন্দ্রের পক্ষে। সরকার মনে করছে, এফডিআই বিতর্কে ভোটাভুটিতে জিতে গেলে ফেমা সংশোধনের সময়েও কোনও অসুবিধা হবে না।
বিরোধীরা সরকারের এই কৌশল ভেস্তে দিতে চাইছে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলি আজ সমাজবাদী পার্টির নেতাদের সঙ্গে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেখা করেন। জেটলির বক্তব্য, লোকসভায় সরকার সংখ্যা জোগাড় করলেও রাজ্যসভা নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। মুলায়ম ও মায়াবতী উভয়েই ভোটদানে বিরত থাকলে রাজ্যসভার কাঁটা পেরোতে পারবে না সরকার। আর মুলায়ম বিপক্ষে ভোট দিলে খুচরো ব্যবসার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে তারা।
বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, সরকার যদি মুলায়ম ও মায়াবতীর সমর্থনের ভিত্তিতে জোড়া ধাক্কা সামলিয়ে নেয়, তাহলেও বিজেপি-র রাজনৈতিক ক্ষতি নেই। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রকৃতপক্ষে কে বিরোধিতা করছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। |
|
|
|
|
|