তৃণমূল ভোট দেবে কি না ধোঁয়াশা এফডিআই-নাটকে
হু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নিয়ে সংসদে ভোটাভুটি-সহ আলোচনার দাবি সরকার মেনে নেওয়ার পর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বিধায়।
দু’টি পথ খোলা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে। এক, বাম-বিজেপির আনা প্রস্তাবে হাত মিলিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া। দুই, ভোটদানে বিরত থাকা। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি মমতা। তবে রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এফডিআই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ারই পক্ষে দলীয় সাংসদেরা। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এফডিআই-এর পক্ষে ভোট করে সরকারকে বাঁচানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কোন কৌশল নেওয়া হবে তা দলনেত্রী স্থির করবেন।” রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক ডেরেক ও ব্রায়ান তাঁর ব্লগে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এফডিআই-এর বিরুদ্ধে প্রধান যোদ্ধা। অন্যান্য দলগুলি কখনও এর পক্ষে গিয়েছে, কখনও বিপক্ষে। কেউ হয়তো সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য একে ব্যবহার করেছে, কেউ বা নিছকই প্রচার কুড়িয়েছে।”
প্রশ্ন হল, সাম্প্রতিক সর্বদল বৈঠকে তৃণমূল যখন ভোটাভুটি-সহ আলোচনার বিষয়টি স্পিকারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কেউ কেউ বলেছিলেন, ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা ভেবে মমতা কংগ্রেসের হাত শক্ত করলেন। এখন তৃণমূল ভোটদানে বিরত থাকলে সেই একই বার্তা যাবে। ইতিমধ্যেই সেই সম্ভাবনা অনুমান করে তৃণমূলকে কংগ্রেসের ‘বি টিম’ বলে তুলে ধরার কৌশল নিচ্ছে সিপিএম। অথচ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং বামেদের আনা প্রস্তাব সমর্থন করাও মমতার পক্ষে মুশকিল। সব মিলিয়ে তাই উভয়সঙ্কট।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কটাক্ষ, “তৃণমূলের অবস্থান সম্পর্কে আর কী বলব। তারা যেটা ঘোষণা করে সেটা করে না, আর যেটা করে সেটা ঘোষণা করে না!” সিপিএমের কৌশল, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান দেখে নিয়ে সেই অনুযায়ী আক্রমণে যাওয়া। তৃণমূল যদি ভোট না দেয়, তা হলে সরকারকে সাহায্য করার অভিযোগ তুলবে তারা। বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য আশা, তৃণমূল তাদের উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ (অনাস্থা প্রস্তাবে বিজেপি সায় না দেওয়ায়) হলেও মমতার দলের পক্ষে এফডিআই-এর বিরুদ্ধে ভোট না-দেওয়াটা অসম্ভব। যে ভাবে তৃণমূল নেত্রী এই এফডিআই-কে কেন্দ্র করেই ইউপিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি সেখান থেকে সরে আসতে পারবেন না। এই অবস্থায় বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যসভায় লড়াইয়ের জন্য সাংসদদের যে তালিকা তৈরি করছেন, তা তৃণমূলকে ধরেই করা হচ্ছে।
এখন মমতা কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.