রাঁচির বিদ্যুৎ বণ্টনের দায়িত্বে সিইএসসি |
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে ‘ক্য্যলকাটা ইলেক্টিক সাপ্লাই কর্পোরেশন’ (সিইএসসি)-র হাতে। একই সঙ্গে ইস্পাতনগরী জামশেদপুরের বিদ্যুৎ বণ্টনের দায়িত্ব দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ‘টাটা পাওয়ার’ সংস্থাকে। ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ পর্ষদের কাজে ফ্রাঞ্চাইজি নিয়োগের মধ্য দিয়ে নিঃশব্দে রাজ্যের বিদ্যুৎশিল্পে সংস্কারের কাজ শুরু হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে রাজধানী রাঁচি এবং ইস্পাতনগরী জামশেদপুরের বিদ্যুৎ বণ্টন, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা, বিদ্যুৎ মাসুল আদায়-সহ দফতরের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানী রাঁচির ক্ষেত্রে ওই কাজ করার দায়িত্ব পাচ্ছে সিইএসসি। জামশেদপুরে ওই কাজের ভার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে টাটা পাওয়ার সংস্থার হাতে। রাজ্য বিদুৎ পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ পর্ষদের ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে ওই দুই সংস্থার কাজ শুরু করা কথা।
ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অন্যতম সদস্য সি ডি কুমার জানান, ইতিমধ্যে সিইএসসি এবং টাটা পাওয়ারের সঙ্গে পর্ষদের পাকা কথাও হয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে ওই দুই সংস্থার কাজও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থির হয়েছে, রাঁচির বিদ্যুৎ বণ্টন, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া এবং বিচ্ছিন্ন করার পুরো দায়িত্ব থাকবে সিইএসসির উপরে। একই সঙ্গে লাইনের লোকাল ফল্ট মেরামত, মিটার রিডিং, বিল তৈরি, বিদ্যুৎ মাসুল আদায়ের কাজও করবে তারা। পাশাপাশি, দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া পড়ে থাকা বিদ্যুৎ মাসুল আদায়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে সিইএসসির হাতে। জামশেদপুরে একই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘টাটা পাওয়ার’ সংস্থাকে।
তবে বিদ্যুৎ মাসুল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই দুই ফ্রাঞ্চাইজির কোনও ভূমিকা থাকবে না। এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সদস্য সি ডি কুমার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ মাসুল নির্ধারণের দায়িত্ব ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার। তাদের সুপারিশ অনুযায়ীই বিদ্যুৎ মাসুলের পরিমাণ নির্ধারণ হবে।”
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রাঁচি এবং জামশেদপুরে ফ্রাঞ্চাইজি নিয়োগের সাফল্য মিললে পরবর্তী সময়ে রাজ্যের অন্য জেলাতেও এই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ধানবাদ এবং বোকারোর নাম। |