ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল এক সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকে ও ময়ূরেশ্বর থানায় তা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ময়ূরেশ্বর ঢেকা পঞ্চায়েতের ওই সহায়ক মানোয়ার হোসেন মল্লিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কয়েকদিন আগেই ময়ূরেশ্বর দাসপলশা পঞ্চায়েত এলাকায় উপযুক্ত বয়স না হওয়া সত্ত্বেও জাল শংসাপত্র জমা করে ভোটার তালিকায় নাম তোলানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুই তরফেই অভিযোগ অস্বীকারও করা হয়েছিল। প্রশাসনও পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বেআইনি ভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলানোয় ওই সরকারি কর্মী যুক্ত আছেন বলে দাবি করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপলসা পঞ্চায়েতের ছোটতুড়িগ্রামের ১৮৬ নম্বর অংশে ব্লক লেভেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন মানোয়ার হোসেন মল্লিক। একজন ব্লক লেভেল অফিসারের কাজ, নিরপেক্ষভাবে এলাকায় মৃত, অন্যত্র চলে যাওয়া কিংবা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১৮ বছরের কম বয়সী ভোটারদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া এবং নতুনদের (১৮ বছর হয়ে যাওয়া) নাম তালিকাভুক্ত করা। তৃণমূলের ছোটতুড়িগ্রামের বুথ কমিটির সভাপতি হাফিজ্জুদিন শেখের অভিযোগ, “ওই কর্মী বেআইনি ভাবে সিপিএম সমর্থকদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁরা আমাদের সমর্থক তাঁদের নামও বাদ দিয়ে দিচ্ছেন।” তাঁদের আরও অভিযোগ, বিডিও-র কাছে অভিযোগ করার কথা জানাজানি হওয়ার পর ওই কর্মী আমাদের উপরে হামলা করার জন্য সিপিএম সমর্থকদের প্ররোচিত করেছেন। স্থানীয় এক সিপিএম নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তিনি এমন করছেন বলে তৃণমূলের দাবি।
যদিও অভিযুক্ত মানোয়ারবাবু বলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করিনি। নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছি।” তাঁর দাবি, “ওই গ্রামেই আমার বাড়ি তাই সেখানে কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, যাঁদেরই নাম বাদ যাচ্ছে তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।” অন্য দিকে, সিপিএমের স্থানীয় দাসপলসা লোকাল কমিটির সদস্য মহম্মদ মকরম আলি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। আসলে মানোয়ারবাবু ও অভিযোগকারীদের বৈষয়িক বিরোধের জেরেই সিপিএমের নাম জড়ানো হচ্ছে।”
ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মলয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই কর্মীর কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |