চিকিৎসায় গাফিলতি, ভাঙচুর-মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে ভাঙচুর এমনকী কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে তমলুক শহরের শঙ্করআড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে ব্যপক উত্তেজনাও ছড়ায় এলাকায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া ষ্টেশনবাজার এলাকার শেখ সুজন নামে ৫ মাসের এক শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় গত সোমবার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। বুধবার বিকেলে শিশুটি মারা যায়। ক্ষুদ্ধ আত্মীয়েরা ফোনে পাঁশকুড়া এলাকার পরিচিতদের খবরটা জানান। এরপর পাঁশকুড়া থেকে একদল লোক এসে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে ঢুকে ব্যপক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। দুই কর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে নার্সিংহোমে হামলার অভিযোগ পেয়ে তমলুক থানার পুলিশবাহিনী আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া এক শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধরের অভিযোগ এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
মঙ্গলবার থেকে জল বন্ধ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর বিল্ডিংয়ে। চারতলা বাড়িটির সব শৌচাগার নোংরা। অমিল পানীয় জলও। রোগী দেখে হাত ধোয়ার জল পাচ্ছেন না চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের সুপার দিব্যেন্দু গৌতম বলেন, “পাম্পের সমস্যা হয়েছে। পূর্ত দফতরের কর্মীরা কাজ করছেন। আশা করা যায়, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।” গত মাস তিনেক ধরে এই বিল্ডিংয়ের লিফ্টও অকেজো। |