প্রবীর মুখোপাধ্যায়কে থামানো যাচ্ছে না। ইডেনের উইকেট নিয়ে মন্তব্য করে ভারতীয় বোর্ডের রোষের মুখে পড়লে কী হবে, বুধবার আবার মুখ খুললেন ইডেন কিউরেটর। শুধু মুখ খোলাই নয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ‘টার্নার’ চাওয়া নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন।
বুধবার বিকেলে ইডেনে দাঁড়িয়ে প্রবীর বলে দেন, “ওয়াংখেড়েতে যে উইকেট হয়েছে সে রকম পিচ যে ইডেনে পাওয়া যাবে না সেটা তো ধোনিকে বুঝতে হবে। মুম্বইয়ে লাল সুরকির উইকেট হয়। এখানে গঙ্গামাটির। দুটো শহরের আবহাওয়া, মাটি সব আলাদা। ধোনি যেটা চাইছে সেটা বাস্তবসম্মত নয়।”
পিচ তৈরি নিয়ে বোর্ডের হস্তক্ষেপ নিয়েও মন্তব্য করতে ছাড়েননি প্রবীর। তাঁর স্পষ্ট কথা, “ক্রিকেটবিশ্বে ইডেনের একটা ভাবমূর্তি আছে। আমি সব সময় সেটা মাথায় রেখে উইকেট তৈরি করেছি। উইকেটের জন্য ইডেন আইসিসি-র কোপে পড়ুক, তা কখনও চাইনি।” তা হলে ইংল্যান্ড টেস্টে কেমন হতে চলেছে ইডেনের বাইশ গজ? “শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমার উইকেট দুশ্চরিত্র হবে না!” |
প্রবীরের হঠাৎ প্রকাশ্য উষ্মার কারণ হয়তো বুধবার সকাল থেকে তাঁকে ঘিরে তৈরি হওয়া নতুন বিতর্ক। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ দিন সকালে দেখানো শুরু হয়ে যায়, চাকরি যাচ্ছে প্রবীরের। কারণ, বোর্ডের পিচ অ্যান্ড গ্রাউন্ড কমিটির সদস্য আশিস ভৌমিকের উপস্থিতি। গুজব ছড়িয়ে যায় যে, প্রবীরের হাত থেকে ইডেনের পিচ বানানোর দায়িত্ব আশিসকেই দিয়েছে বোর্ড। সন্ধেয় অবশ্য সেই গুজব উড়িয়ে দিল সিএবি। জানিয়ে দেওয়া হল, ইডেন টেস্ট শুধু নয়, আসন্ন পাকিস্তান সিরিজেও কিউরেটর হিসেবে থাকবেন প্রবীরই। যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, “দলজিৎ সিংহের ই-মেলে লেখা আছে আশিস আসছেন শুধু প্রবীরকে সাহায্য করতে। কাজে হস্তক্ষেপ করতে নয়। বোর্ডের পিচ কমিটিতে পূর্বাঞ্চলের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ইডেনে তাঁর উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। এর মধ্যে বিতর্কের কিছু নেই।”
শুধু তাই নয়, আশিসকে আলাদা করে সেটা সিএবি বলেও দেবে। তাঁকে বলা হবে, ইডেন কিউরেটরকে সাহায্য করুন। কিন্তু উইকেটের চরিত্র পাল্টাতে যাওয়া ঠিক হবে না। সিএবি কর্তাদের বক্তব্য, পিচে বেশি বদল আনতে গিয়ে যদি সেটা ‘আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড’ হয়ে দাঁড়ায়, তখন দায় কে নেবে? বোর্ড? না পিচ কমিটির পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি?
আশিসের উপস্থিতি নিয়ে ইডেন কিউরেটরেরও প্রথমে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট প্রবীরকে বোঝান যে, তাঁর কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। পরে প্রবীরও বলেন, “আশিসের সঙ্গে কাজ করতে আমার সমস্যা নেই। ভাল ছেলে।” |