বিজেপি-র সঙ্গে বৈঠকে রফা
সুষ্ঠু অধিবেশন চেয়ে ভোটাভুটিতে রাজি কেন্দ্র
হু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সংসদে আলোচনা ও ভোটাভুটির দাবি মেনে নিল সরকার। কিন্তু পরিবর্তে বিজেপি-র কাছে তারা প্রতিশ্রুতি চাইল, ওই ভোটাভুটির পরে যেন সুষ্ঠু ভাবে সংসদ চলতে দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কিং, পেনশন, বিমা এবং জমি অধিগ্রহণ বিল পাশ করাতে বিজেপি-র কাছে সাহায্যও চাইল সরকার।
বিজেপি অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। দিল্লির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, শেষমেশ কোনও অজুহাতে বিজেপি পেনশন ও বিমা বিল পাশ করাতে বাধা দেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, লোকসভা ভোটের আগে সরকার যদি সংস্কারের সব কর্মসূচি সংসদে পাশ করিয়ে নেয়, তা হলে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি-র কোনও লাভ নেই।
ভোটাভুটি-সহ বিতর্ক নিয়ে গত দু’দিনে প্রথমে সর্বদল এবং পরে ইউপিএ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর সরকার নিশ্চিত যে, খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নিয়ে ভোটাভুটি হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে অসুবিধা হবে না। আজ লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমল নাথ। সূত্রের খবর, সরকার যে ভোটাভুটিতে রাজি, তা জানিয়ে দেওয়া হয় জেটলি-সুষমাকে। কিন্তু একই সঙ্গে কমল নাথ তাঁদের বলেন, এর পর যেন সংসদ চলতে দেয় বিজেপি। কারণ, অতীত অভিজ্ঞতা হল, একটা বিষয় মিটতে না মিটতেই বিজেপি অন্য বিষয় নিয়ে সংসদ অচল করতে নেমে পড়ে।
ভোটাভুটি মেনে নেওয়ার কথা অবশ্য আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। বরং সুষমাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমল নাথ বলেছেন, “আলোচনা কোন নিয়মে হবে, তা সভার স্পিকার স্থির করবেন।” অন্য দিকে, সুষমা বলেন, তাঁরা কমল নাথকে জানিয়েছেন, এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি হলে সরকারের পতনের আশঙ্কা নেই। তা-ও সরকার ভয় পাচ্ছে কেন? তবে ভোটাভুটির সূত্র সামনে রেখে তলে তলে যে একটা রফাসূত্র তৈরি হয়েছে, তা ঘরোয়া আলোচনায় দুই শিবিরই জানিয়েছে। এবং সেই আলোচনা ও ভোটাভুটি সম্ভবত আগামী সোমবার হবে।
কিন্তু মূল প্রশ্ন হল, এর পর সংসদ চালাতে সত্যি কি সহযোগিতা করবে বিজেপি? গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতেই বা তাঁরা সরকারের পাশে কতটা থাকবেন? বিজেপি সূত্র বলছে, ব্যাঙ্কিং বিল পাশ করাতে হয়তো তাঁরা সাহায্য করবেন। কিন্তু পেনশন ও বিমা বিলে তাঁরা তখনই সমর্থন জানাবেন, যখন এ ব্যাপারে যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব সুপারিশ সরকার মেনে নেবে। যদিও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, পেনশন ও বিমা বিল নিয়ে স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সুপারিশ কেন্দ্র মেনে নিয়েছে। এ বিষয়ে জেটলি-সুষমা-যশবন্তদের সঙ্গে ফের কথা বলবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
বিজেপি যে কোনও অজুহাতে পেনশন ও বিমা ক্ষেত্রে সংস্কারের মতো আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত বিলগুলির গতিরোধ করতে পারে, সেই আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীরও রয়েছে। আরও চিন্তার বিষয় রাজ্যসভা। কারণ, সেখানে সরকারের সংখ্যা লোকসভার থেকেও খারাপ। সেখানে মায়াবতী, মুলায়মের মধ্যে কোনও এক জনকে সরকারের পক্ষে ভোট দিতেই হবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যসভা নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই। লোকপাল বিলও সেখানে আটকে ছিল। বরং লোকসভা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু সংস্কার সংক্রান্ত বিলগুলিই নয়, রাজনৈতিক কারণে জমি বিলও এই অধিবেশনেই পাশ করাতে চায় সরকার। এক শীর্ষ সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, জমি বিল সংসদে পাশ করাতে সরকারের অসুবিধা হবে না। কারণ, ওই বিলে মায়াবতী-মুলায়ম উভয়েই সমর্থন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া বামেরও বিশেষ বিরোধিতা করার আশঙ্কা নেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.