কলকাতায় ধৃত দুষ্কৃতীদের ফেরত পাবে, আশায় ঢাকা |
বাংলাদেশে তার নামে রয়েছে গোটা ৩০ খুন ও ১৭টি অপহরণের মামলা। সঙ্গে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানেরও বেশ কয়েকটি। রয়েছে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস। সেই সুব্রত বায়েন কলকাতায় ধরা পড়ায় এ বার তাকে হাতে পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশের পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে কলকাতা পুলিশ বা দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও এ বিষয়ে তাদের সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি।
|
সুব্রত বায়েন |
মঙ্গলবার কলকাতার চাঁদনি চক এলাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতারের পরে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় সুব্রত বায়েনকে। বিচারক তাকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “ভারতের জঙ্গিরা যে ভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে সে দেশের পুলিশের হাতে পৌঁছে গিয়েছে, আশা করি সুব্রত বায়েন ও সাজ্জাদের মতো বাংলাদেশের ফেরার দুষ্কৃতীরাও সে ভাবে এ দেশে এসে পৌঁছবে।” ওই কর্তা বলেন, “দিল্লির কাছে যে মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীদের তালিকা ঢাকা ফি বছর দেয়, তাতে ওপরের দিকেই থাকে সুব্রত বায়েনের নাম। আমরা আশাবাদী যে ভারত নিশ্চয়ই তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেবে।” ওই কর্তা জানান, চট্টগ্রামের আর এক কুখ্যাত খুনি সাজ্জাদ হোসেনও কিছু দিন আগে কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে বলে তাঁরা সংবাদমাধ্যমে জেনেছেন। ঢাকার আশা, সুব্রতর সঙ্গে তাকেও বাংলাদেশে ফেরানো হবে।
কলকাতার একটি নম্বর থেকে ঘন ঘন কানাডায় ফোন করা দেখে সন্দেহ হয়েছিল লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) অফিসারদের। আর সেই ফোন ট্র্যাক করতে গিয়েই হদিশ মেলে দুষ্কৃতী সুব্রত ওরফে মহম্মদ ফতে আলির। এর আগে ২০০৮ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলেও জামিনে মুক্তি পায় সে। তার পরে নেপালে পালিয়ে যায়। এসটিএফ জানিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর নেপালের ঝুমকা জেল থেকে সুড়ঙ্গ কেটে পালিয়েছিল সুব্রত। তার পর গাড়িতে চড়ে বিহারের পূর্ণিয়া পৌঁছয়। সেখান থেকে বীরভূমের সিউড়ি হয়ে ঘাঁটি গাড়ে কলকাতায়।
সপ্তাহ কয়েক আগে নিউটাউন থেকে মহসিন গাজি নামে আর এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে ধরেন বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
|
বাতিল শব্দ
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
প্রচুর বিদেশি শব্দ বাতিল করে অক্সফোর্ড অভিধান নতুন করে প্রস্তুত করেছিলেন প্রাক্তন সম্পাদক রবার্ট বার্কফিল্ড। বাতিলের তালিকায় ছিল ভারতীয়, তিব্বতি ও প্রচুর বিদেশি শব্দ যেমন ‘বালিসুর’(ভারতীয় একটি প্রাণী বিশেষ), ‘দাঁচি’(একটি গাছ বিশেষ), ‘বোভিয়েন্ডার’(ব্রিটিশ গায়ানার মিশ্র জাতির মানুষ), ‘সেপ’(তিব্বতি কাউন্সিলর), ‘ওয়েক আপ’(পাখি বিশেষ)। অক্সফোর্ড অভিধানের তরফ থেকে আবার নতুন করে দেখা হচ্ছে বাতিল হওয়া শব্দগুচ্ছ। |