একটি আর্থিক সংস্থার সভা চলাকালীন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে জখম হলেন পাঁচ জন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জখম অবস্থায় দুই স্কুলছাত্রী কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার বিকেলে কাটোয়ার ‘সংহতি’ প্রেক্ষাগৃহের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাসানুর জামান মীর নামে ওই রক্ষীর বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে মেঝেতে লাগে। সেখান থেকে ছিটকে গুলির টুকরো লাগে পাঁচ জনের গায়ে। পুলিশ ওই রক্ষীকে আটক করেছে। তাঁর কাছে থাকা ডবল ব্যারেল বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। |
পুলিশ জানায়, জেলায় নিজেদের এজেন্টদের নিয়ে এ দিন কাটোয়ায় সভা করছিল ওই সংস্থাটি। সভায় বেশ ভিড় হয়েছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রেক্ষাগৃহে আসেন। সেই সময়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী হাসানুর জামান। পুলিশের দাবি, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ধাক্কাধাক্কিতে তাঁর কাঁধে থাকা বন্দুকটি পড়ে যাচ্ছিল। সেটি তড়িঘড়ি ধরতে গেলে ট্রিগারে চাপ পড়ে গুলি ছিটকে যায়। তখনই তিন মহিলা-সহ পাঁচ জন জখম হন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মঙ্গলকোটের কুলসুনো গ্রামের বাসিন্দা, দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া খাতুন ও কাটোয়া বাগানেপাড়ার কলেজ ছাত্রী ফারহিন খাতুন জখম অবস্থায় কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি। জখমেরা জানানা, সংস্থার কর্তাকে অভ্যর্থনা জানাতে মঞ্চের কাছে ‘থালি’ হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির টুকরো লাগে তাঁদের গায়ে। হাসপাতালে ভর্তি দুই ছাত্রী জানান, হঠাৎ গা থেকে রক্ত পড়তে দেখে তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “বন্দুকটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |