নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
না পড়ে খড়কুটো, না ফুল-মালা।
জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জনের দু’দিনের মধ্যেই সাফসুতরো হয়ে গিয়েছে চন্দননগরের রানিঘাট। গঙ্গা দূষণ রোধে চন্দননগর পুরসভা, ‘সবুজের অভিযান’ নামে একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থা, অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর এবং কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মিলিত ভাবে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে একটানা ওই ঘাটে সাফাই অভিযান চালায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘাট দেখে সোমবার অনেকেই ওই অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার প্রায় বিকেল পর্যন্ত চন্দননগর, মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বর এই তিনটি এলাকার প্রায় ২০০টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয় ওই ঘাটে। এ ছাড়াও ছিল বিভিন্ন বাড়ির প্রতিমা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চন্দননগর শহরের ওই একটি ঘাটকেই বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। দশমীর সকাল থেকেই ওই ঘাটে উপচে পড়ে ভিড়। গতবারও পুরসভা এবং ওই সংস্থাগুলি মিলিত ভাবে গঙ্গা দূষণ রোধে প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সাফাই অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু এ বারের মতো এত তাড়াতাড়ি রানিঘাটকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারেনি। |
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বেশ কয়েক জন পুরকর্মীকে বিসর্জনের গোড়া থেকেই নৌকায় নজরদারি চালাতে বলা হয়েছিল। যাতে প্রতিমার খড়কুটো বা ফুল-মালা ভেসে না যায়। সব মিলিয়ে পুরসভার ৫০ জন কর্মীকে কাজে লাগানো হয়। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের স্বেচ্ছাসেবকেরাও স্পিডবোট নিয়ে টহল দিয়েছেন।
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “গত বার কর্মী কম থাকায় সাফাই অভিযানে দেরি হয়। কিন্তু এ বার আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। গঙ্গা দূষণ রোধে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে অনেক আগেই আলোচনা করা হয়। পুজোর সরঞ্জাম ফেলার জন্য রানিঘাটের ধারে নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছিল। পুজো উদ্যোক্তারা সহযোগিতা করেছেন।”‘সবুজের অভিযান’-এর কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভা এবং আমরা সকলে মিলিত ভাবে গঙ্গা দূষণ রোধে চেষ্টা চালিয়েছি। সকলের উদ্যোগেই দ্রুত ঘাট সাফসুতরো করা গিয়েছে।” |