টুকরো খবর |
ছাদে জ্বলন্ত বৃদ্ধ, নীচে হতবাক প্রতিবেশীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
এক মর্মান্তিক মৃত্যুর সাক্ষী থাকলেন আরামবাগের শ্রীনিকেতন পল্লীর মানুষ। রবিবার বিকালে শ্রীনিকেতন পল্লীর বাসিন্দা অভিরাম হালদারকে (৬১) জ্বলন্ত অবস্থায় তাঁর বাড়ির ছাদে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। কিন্তু হতবাক প্রতিবেশীদের বিহ্বলতা কাটার আগেই সব শেষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অভিরাম হালদার মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়েই আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে অভিরামবাবু নিজের বাঁ হাতের শিরা কেটে তাঁর স্ত্রীর শাড়ি ও কেরোসিন তেলের পাত্র নিয়ে ছাদে ওঠেন। তারপরে নিজের গায়ে আগুন দেন। অভিরামবাবুর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে তাঁর দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রী হীরাদেবী ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে তিনি বাইরে এসে স্বামীর জ্বলন্ত দেহ দেখতে পান। তখন বৃদ্ধের প্রায় শেষ অবস্থা।অভিরামবাবুর দুই ছেলে অভিজিৎ ও শুভজিতের আপেক্ষ, “অত লোক দাঁড়িয়ে না থেকে যদি বাবাকে বাঁচানোর একটু চেষ্টা করত, তা হলে হয় তো বাবাকে বাঁচানো যেত।” তবে ঘটনার সময়ে হাজির প্রতিবেশীরা বলেন, ‘‘ওই দৃশ্য নজরে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অভিরামবাবু মারা যান। সে সময় আমাদের বুদ্ধি কাজ করছিল না।”
|
সিঙ্গুরের জোড়া ক্ষত জুড়োতে সরকারি কলেজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহসিন কলেজ এবং চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজের পরে তৃতীয় সরকারি কলেজ পেতে চলেছে হুগলি। সেই সরকারি কলেজটি গড়া হবে সিঙ্গুরে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ওই কলেজের শিলান্যাস করবেন। কলেজটি তৈরি হবে রাজ্যের আবাসন দফতরের হাতে থাকা অব্যবহৃত জমিতে। মহাকরণ সূত্রের খবর, আবাসন দফতরের ওই জমিটি সিঙ্গুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই। মূলত সিঙ্গুরের দু’টি ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সরকারি কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। প্রথমত, রাজ্য মন্ত্রিসভায় সাম্প্রতিক রদবদলের পরে ‘অখুশি’ হয়ে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য কৃষিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ দফতর দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু কিন্তু সেই রদবদলের পর থেকে আর মহাকরণে যাননি। তাঁর দফতর বদলের ঘটনায় সিঙ্গুরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, টাটার ন্যানো কারখানার জন্য জমি হারানো কৃষকেরা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে। এই দুই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরবাসীকে সরকরি কলেজ উপহার দিতে চান বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
|
সভা বানচাল করল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধনেখালি |
অনুমতি না নেওয়ার অজুহাতে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের কৃষক সংগঠনের কর্মসূচি বন্ধ করে দিল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ধনেখালির মল্লিকপুর এলাকায় লিবারেশনের কৃষক সংগঠনের পথসভা চলছিল। আলুবীজের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সারে ভর্তুকি ও ন্যায্য মূল্যে ধান কেনার দাবিতে ওই সভা শুরু হয়। মাঝপথে আচমকাই পুলিশ তা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। লিবারেশনের রাজ্য নেতা সজল অধিকারী অভিযোগ করেন, “পথসভার ক্ষেত্রে এত দিন কোনও অনুমতি লাগত না। পুলিশ গায়ের জোরে বন্ধ করে দিল।” জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “সাধারণ ভাবে পুলিশের অনুমতি নেওয়াটাই নিয়ম। ধনেখালির ওই ঘটনার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল, খোঁজ নিচ্ছি।”
|
ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় মৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক অটো রিকশা চালকের। জখম হয়েছেন তাঁর দুই সঙ্গী। তাঁরাও অটো চালক। সোমবার ঘটনাটি ঘটে ভদ্রেশ্বরের বিঘাটি মোড়ের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শিবু ঘোড়ুই (৩৫)। বাড়ি উত্তরপাড়ার মাখলায়। শিবুবাবু ও তাঁর দুই বন্ধু এ দিন দুপুরে মাখলা থেকে বিঘাটিতে যাচ্ছিলেন অটোর ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ করাতে। সেখানে পৌঁছনোর কিছুটা আগে উল্টোদিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোটির ধাক্কা লাগে। অটোর ৩ আরোহীই জখম হন। শিবুবাবুকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
জখম যুবকের মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
টিকিট পরীক্ষককে টিকিট দেখাতে না পেরে রবিবার হুগলি ও ব্যান্ডেল স্টেশনের মাঝে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে জখম হয়েছিলেন এক যুবক। সোমবার বিকেলে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
|
বালিঘাটে সেতু ভেঙে ট্রেলার পড়ল গ্যারাজে |
বালিঘাট ও বালি হল্টের সংযোগসেতুর রেলিং ভেঙে ১৬ ফুট নীচে একটি গ্যারাজের উপরে পড়ল ১০ চাকার ট্রেলার। সোমবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় ট্রেলারচালক সত্যনারায়ণ যাদব ও খালাসি শত্রুঘ্ন যাদব গুরুতর আহত হন। পুলিশ জানায়, ট্রেলারটি পড়ার সময় এক ব্যক্তির বাড়ির বারান্দায় ধাক্কা মারে। তার পরে সেই বাড়ির নীচে সাইকেল ও মোটরবাইক রাখার গ্যারাজে গিয়ে পড়ে। ওই সেতুর খুব কাছেই বালিঘাট স্টেশন। দুর্ঘটনার কিছু আগেই সেখান থেকে ছেড়ে গিয়েছে ডানকুনি লোকাল। তার বেশ কিছু যাত্রী ওই গ্যারাজ থেকে সাইকেল ও মোটরবাইক নিয়ে সেই সবে বাড়ির পথ ধরেছেন। অল্পের জন্য বেঁচে যান তাঁরা। তাঁরা গ্যারাজে থাকাকালীন ট্রেলার এসে পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ট্রেলারটি রাস্তার হাইটেনশন লাইনের উপরে পড়ায় পুরো এলাকার বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যাঁর বাড়ির বারান্দায় ট্রেলারটি ধাক্কা মারে, সেই স্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘুমোতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বাড়িটা খুব জোরে কেঁপে উঠল। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সেতুর রেলিংয়ের কিছু জায়গা ভাঙা। মেরামতির জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও ফল হয়নি।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
তরুণের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনের। রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রীনগরে হারাধন পাল (১৯) নামে ওই যুবক বাইক নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। পুলিশ জানায়, চন্দ্রকোনার গুয়াডাঙা গ্রামের তরুণকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। |
|