টুকরো খবর
জেঠমলানীকে শো-কজ সতর্ক বিজেপির
নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রকাশ্য মুখ রাম জেঠমলানীকে বরখাস্তের আগে দলের গঠনতন্ত্র মেনে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরাল বিজেপি। সব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি মানা না হলেও পাছে তিনি আইনি লড়াইয়ে নামেন, সেই জন্যই জেঠমলানী-বিদায়ে নিয়ম মেনে এগোনোই নিরাপদ মনে করছে দল। দশ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে ওই নোটিসের। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। কর্মসমিতি থেকে তাঁর ছেলে মহেশের ইস্তফাও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এক, সমান দোষে দুষ্ট যশবন্ত সিন্হা ও শত্রুঘ্ন সিন্হাকে কেন রেয়াত করা হল? দুই, জিন্না নিয়ে বই লেখার পর যশোবন্ত সিংহকে নোটিস না দিয়েই বরখান্ত করা হয়। দলের নিয়ম কেন সকলের জন্য এক নয়? (সেই সময় অবশ্য নিতিন গডকড়ী সভাপতি ছিলেন না। ছিলেন রাজনাথ সিংহ।) তিন, গডকড়ী-বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য তৎপরতা দেখানো হল। অথচ সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন তাঁকে সরানোর কথাটি সমান ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না?

সরাসরি ভর্তুকি ৫১ জেলায়
ইউপিএ-১ জমানায় একশো দিনের কাজের প্রকল্প ঘোষণা করে ভোটে বাজিমাত করেছিল মনমোহন সিংহ সরকার। ইউপিএ-২ জমানায় তেমনই আর এক চাল দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ঘোষণা করলেন, খাদ্য, জ্বালানি এবং সারে যাঁদের ভর্তুকি পাওয়ার কথা, সেই টাকা সরাসরি চলে যাবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। প্রথম দফায় দেশের ৫১টি জেলায় এই প্রকল্পটি চালু হচ্ছে। প্রকল্পটি আধার কার্ড ভিত্তিক। যাঁদের কাছে আধার কার্ড থাকবে, তাঁরাই পাবেন এই সুবিধা। যে ৫১টি জেলায় এটি প্রথম চালু হচ্ছে, সেখানে মোটামুটি ভাবে আধার কার্ড বিলি হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পটির ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সরাসরি টাকা সংশ্লিষ্টদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠালে অপচয়ের সম্ভাবনা কমবে। যাঁরা প্রকৃত এই ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য, তাঁরাই লাভটা পাবেন।” আধার কার্ডের কাজ করছে নন্দন নিলেকানির সংস্থা। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের টানাপোড়েন রয়েছে, সেটা ভালই জানেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এই প্রকল্পটির সাফল্য নির্ভর করছে দু’পক্ষের সমন্বয়ের উপরে। তাই প্রধানমন্ত্রী জানান, অর্থ মন্ত্রক এবং ওই সংস্থাকে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।

রেলে বিপুল চিনা বিনিয়োগ চায় কেন্দ্র
সীমান্ত-সহ নানা বিষয়ে দূরত্ব কমাতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে তৎপর হল ভারত-চিন দু’দেশই। আজ চিনের সঙ্গে একাধিক মউ স্বাক্ষর হয় ভারতের। মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “সংঘাতের ফলে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে দু’পক্ষই সংঘাতের পথ এড়াতে চাইবে।” চিনে সদ্য ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। তাই বাণিজ্যের হাত ধরে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম থেকেই সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে চলতে চাইছে নয়াদিল্লি। কোন কোন ক্ষেত্রে দু’টি দেশ যৌথ ভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আজ বৈঠকে বসেন যোজনা কমিশন ও চিনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধিরা। রেলে বিপুল চিনা বিনিয়োগ টানতে চাইছে ভারত। প্রায় এক দশক পরে শরিকদের হাত থেকে রেল নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে কংগ্রেস। গোটা দেশে ‘হাই স্পিড করিডর’ বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ন্টেক বলেন, “আমরা চাই চিন এই করিডর নির্মাণে এগিয়ে আসুক।”

আনন্দ-কল্যাণে তুমুল কোন্দল
পশ্চিমবঙ্গে শিল্প না আসার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা। যার জবাবে তাঁকে দালাল বললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধায়! এমনকী পরে সংসদের বাইরে আনন্দ শর্মাকে উদ্দেশ করে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করতেও ছাড়লেন না কল্যাণ! কল্যাণের দাবি, তাঁরা যখন সরকারের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে সংসদের ওয়েলে নেমে স্লোগান দিচ্ছেন, তখন আনন্দ বারবার বলতে থাকেন, ‘আপনাদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গে কোনও শিল্পপতি বিনিয়োগ করতে চাইবেন না’। এতেই মেজাজ হারান তিনি। কংগ্রেসের অভিযোগ, আনন্দকে শিল্পপতিদের ‘দালাল’ বলেন কল্যাণ। বিষয়টি নিয়ে কল্যাণ বলেন, “উনি অত্যন্ত অভদ্র ভাবে কথা বলেছেন।”

মিজোরামে জঙ্গি কবলে তিন জন
মিজোরামের মামিত জেলা থেকে অপহৃত হলেন ত্রিপুরার দুই কাঠ ব্যবসায়ী ও তাঁদের গাড়িচালক। বিএসএফ এবং ত্রিপুরা পুলিশ এই ঘটনার পিছনে এনএলএফটি-র হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করলেও মিজোরাম পুলিশ এই ব্যাপারে ব্রু জঙ্গিরাই জড়িত বলে মনে করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়িক কাজে ত্রিপুরার দুই কাঠ ব্যবসায়ী স্বপনকুমার রায় ও শঙ্কর নাথ মিজোরামের ত্রিপুরা সীমা সংলগ্ন গ্রাম রাজীবনগরে গিয়েছিলেন। অপহৃতদের বাড়ি ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে।

গ্রামবাসীর মৃত্যু
বোকারোর ভালমারা জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর গুলিতে আজ সকালে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম দশরথ মাল্লহার (২৫)। যৌথবাহিনীর গুলিতে গ্রামবাসী নিহত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। জীবিকার
জন্য এক প্রজাতির পোকা ধরতে দশরথ জঙ্গলে গিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসীদের দাবি। জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলির শব্দ আসতেই পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। তাতেই নিহত হন তিনি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার কুলদীপ দুয়েদি।

সারান্ডায় হামলা
ফের সারান্ডায় তাণ্ডব চালাল মাওবাদী জঙ্গিরা। সারান্ডার ছোটানাগরায় এলোপাথাড়ি গুলি-বোমা ছুড়ে এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় তারা।

গ্রেফতার ওসি
গুলি চালিয়ে গ্রামবাসী হত্যার অভিযোগে শেষ অবধি গ্রেফতার হলেন ডিব্রুগড় বরবরুয়া থানার ওসি দেবজ্যোতি দত্ত। ১৩ নভেম্বর ওই ঘটনার পর দফায় দফায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন দেবজ্যোতিবাবু। আজ, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

রক্ষীর মৃত্যু
সহকর্মীর মারে গুয়াহাটিতে মৃত্যু হল বেসরকারি সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষীর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম খগেন বর্মন। বাড়ি বরপেটা জেলায়। অভিযোগ, কাল রাতে খগেনেরই এক সহকর্মী তাঁর মাথায় আঘাত করে পালায়। আহত ওই রক্ষীকে গুয়াহাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

জমি বিল
জমি অধিগ্রহণ বিল খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ওই বিল লোকসভায় পেশ করতে চায় কেন্দ্র। আজ রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী লালচন্দ কাটারিয়া। তিনি জানিয়েছেন, বিল খতিয়ে দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট তৈরি। এ বার তা মন্ত্রিসভায় পেশ হবে।

কসাবের বদলা
আজমল কসাবের ফাঁসির বদলা নিতে বৈষ্ণোদেবীতে হামলা চালানোর হুমকি দিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। জম্মুতে এক হোটেলমালিককে ই-মেল পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মেলটি ভুয়োও হতে পারে বলে ধারণা তাদের।

স্মৃতি বিজড়িত
—নিজস্ব চিত্র
রাজস্থানের ক্ষেত্রির এই বাড়িটিতেই স্বামীজী তাঁর পরিব্রাজক জীবনে বেশ কয়েকদিন ছিলেন। চারতলার যে ঘরটিতে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির’ লেখা সেখানেই থাকতেন স্বামীজী। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের দেড়শ বছর উপলক্ষে ওই বাড়িটির সংস্কার শুরু হয়েছে। ওই সংস্কারের দায়িত্বে থাকা স্বামী আত্মনিষ্ঠানন্দ বলেন, “ওই সংস্কারের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হবে। কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। রাজস্থান সরকার দিয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। সংগ্রহশালার জন্য রাজস্থান সরকার অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.