মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গেলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ সরলা মহেশ্বরী। সঙ্গে তাঁর মেয়ে-জামাই। রাজারহাটে জমি কেলেঙ্কারিতে বহু বার নাম জড়িয়েছে সরলাদের পারিবারিক সংস্থার বিরুদ্ধে। মমতা বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন অশ্লীল ছবিতে তাঁর মুখ বসিয়ে যে সিডি ছড়ানো হয়েছিল, তাতেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সরলার জামাই অমিতাভ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। এ হেন সরলা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ও পাশাপাশি প্রশাসনিক মহলেও। মহাকরণে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরলাদের নিয়ে এসেছিলেন মমতাপন্থী এক শিল্পী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় সরলার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে।
|
সরলা মহেশ্বরী |
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। সরলা ফোন ধরেননি। অমিতাভের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়েছে, তিনি একটি বৈঠকে ব্যস্ত আছেন। তাঁদের সংস্থার কিছু কর্মীর নামে জাল প্যান কার্ড তৈরি করে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কিছু দিন আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অমিতাভ। বাম জমানাতেও এক বার গ্রেফতার হতে হয়েছিল তাঁকে। মমতা ক্ষমতায় এসে রাজারহাটে জমি কেলেঙ্কারির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও কেন সরলাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরলার স্বামীর আয়কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে হইচই হওয়ার পরে সিপিএম অবশ্য তাদের দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সরলাদের। তবে প্রাক্তন সাংসদের পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। এখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে তাঁরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
খোদ তৃণমূল নেত্রীর ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল সিডি তৈরির অভিযোগ থাকলেও কেন অমিতাভ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না মমতারই জমানায়, তার বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজি-সহ প্রশাসনের কর্তাদের চিঠি দিয়েছিলেন একদা মহেশ্বরীদের ব্যবসার অংশীদার কমল গাঁধী। তাঁরই পরিবারের নাম ব্যবহার করে ওই সিডি শহরের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবু সরলাদের আর্জি মেনে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে রাজি হওয়ায় তৃণমূলের একাংশও বিস্মিত! |