|
মনোরঞ্জন ২... |
|
ঋতুপর্ণা
@ রাইসিনা |
বাংলা ছবি। দর্শকাসনে বাঙালি রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি। প্রোটোকলের হাজারো বেড়া। তবু সিনেমা
শুরুর আগে
তাঁদের
পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল টিম ‘মুক্তধারা’। স্পিচ দেওয়ার সময় বুক দুরুদুরু
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর।
হাজার হোক, এমন ঘটনা তো জীবনে বারবার আসে না।
এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ইন্দ্রনীল রায় |
• সকাল ৭:৪০
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স |
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আগের ফ্লাইটে দিল্লি
আগেই চলে গেছেন। প্লেনে শুধুই পায়চারি
করে চলেছেন ‘মুক্তধারা’র পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। “উফ! আমি আর টেনশন
নিতে পারছি না। সব যেন ঠিক ভাবে হয়,” বলে গেলেন শিবপ্রসাদ। |
• দুপুর ১১:২৫
গেস্ট হাউস, ফিরোজ শাহ রোড |
আলুর পরোটা খেতে খেতে রাষ্ট্রপতি ভবন
থেকে ফোন। “জলদি আইয়ে, ডিভিডি মে
পুরা ফিল্ম একবার চালানা পড়েগা।” সঙ্গে
সঙ্গে ছুটলেন টিম ‘মুক্তধারা’র পরিচালক শিবপ্রসাদ ও উপস্থাপক অতনু রায়চৌধুরী। “সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ডিভিডি চালানো হল। প্রোটোকল অফিসাররা পুরো ছবিটা দেখলেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাপারই আলাদা,” বলছিলেন ছবির প্রযোজক বাচ্চু বিশ্বাস। |
• বিকেল ৫টা
লা মেরিডিয়ান হোটেল, কনট প্লেস |
হোটেলের লবিতে টিম ‘মুক্তধারা’ অপেক্ষায়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তখনও স্পিচের রিহার্সাল করছেন তাঁর ঘরে। ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় ঘনঘন সিগারেট খাচ্ছেন হোটেলের বাইরে। |
|
• সন্ধে ৬:১০
রাষ্ট্রপতি ভবন, রাইসিনা হিল |
পাঁচটা গাড়ির কনভয় রাষ্ট্রপতি ভবনের ভিতরে ঢুকে রাস্তা হারিয়ে ফেলে একেবারে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের সেই বিখ্যাত লনে। “আপলোগ গলত জগহ আ গয়ে।” আবার গাড়ি ঘুরিয়ে
স্ক্রিনিং যেখানে হবে সেখানে পৌঁছনো। |
• সন্ধে ৬:১৮
স্ক্রিনিং হল |
নাম দেখে দেখে একজন একজন করে
ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। মোবাইল, ক্যামেরা সব ডিপোজিট করে সবাই ঢুকল স্ক্রিনিংয়ে। “আমার ভীষণ ভয় করছে কিন্তু,” ঢুকতে ঢুকতেই কানে কানে বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত । |
• সন্ধে ৬:২১
স্ক্রিনিং হল |
বারোটা কালো লেদারের সোফা রয়েছে। তাতে লেখা ‘ফ্যামিলি’। ওগুলো রাষ্ট্রপতির পরিবারের জন্য। ওই সোফাতেই বসে আছেন প্রণববাবুর দিদি এবং আরও অনেকে। বাকিদের জন্য বসার ব্যবস্থা অন্য চেয়ারে। একটা ছোট টেবিলে দু’গ্লাস জল আর একটা নোটপ্যাড রাখা। প্রথমে এসে বসলেন ফার্স্ট লেডি। |
• সন্ধে ৬:২৪ |
প্রাটোকল অফিসার আর সিকিউরিটি
গার্ডদের ভিড়ের মাঝখান থেকে সিনেমা দেখতে ঢুকলেন রাষ্ট্রপতি। আগে থেকেই প্রোটোকল অফিসার বলে দিয়েছেন ‘ফ্লো অব ইভেন্টস্’।
সেই মতন ঋতুপর্ণা পরিয়ে দিলেন উত্তরীয়।
তার পর গ্রুপ ফটো তুলে সবাই ঢুকলেন
স্ক্রিনিং হলে। |
• সন্ধে ৬:২৯ |
নিজের লেখা স্পিচে ‘মুক্তধারা’ ছবিটা ইন্ট্রোডিউস করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রথমে ইংরেজি, তার পর বাংলাতে। একে একে পরিচয় করে দিলেন টিম ‘মুক্তধারা’র সব সদস্যকে। |
• সন্ধে ৬:৩১
লাইট অফ হল |
শুরু হল ‘মুক্তধারা’। দর্শকাসনে ভারতের রাষ্ট্রপতি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়,“আমার জীবনের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনার একটি।” |
|