বাজারের মধ্যে ঘরের উনুন থেকে আগুন ছড়িয়ে ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মার্কেট এলাকার স্ট্রিট কর্ণার মোড়ের ঘটনাটি ঘটেছে। আত্রেয়ী নদীর খাঁড়ির ধারে কাঠ ও টিনের ছাউনি দেওয়া আসবাব ও রকমারি দাহ্য পদার্থে মজুত সারি সারি দোকান। কিন্তু, দ্রুত আগুন আয়ত্বে আসায় বিধ্বংসী আকার নেয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত। পুলিশ ও দমকলের অনুমান, দোকানগুলির মাঝে একটি ঘরে বাদাম ভাজা হত। সেখানে উনুন থেকে আগুন লাগে। তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আগুন লাগে। কোথাও একটি ড্রামে কেরোসিন জাতীয় দাহ্য বস্তু ছিল। তাতেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে আগুনের চেহারা। পুরসভা থেকে দফায় দফায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। এলাকার লোকজনের চেষ্টায় অন্তত ২০ টি দোকানের মালপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। ২টি জুয়েলারি, ২টি কাঠের আসবাব তৈরি ও ১টি বাদাম ভাজার দোকান সহ ওই ঝুপড়ি বাড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও ৬টি দোকানের। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ আয়ত্তে না আসায় শেষে প্রশাসন থেকে পতিরাম সদর বিএসএফ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। বিএসএফ জওয়ানেরা জলের গাড়ি, গ্যাস নিয়ে এসে আগুন নেভাতে নেমে পড়েন। প্রায় দু ঘণ্টার চেষ্টায় সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে।
|
দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল একাধিক অবৈধ মদের ঠেক। সকাল থেকে রাত্রি পর্য়ন্ত সেই ঠেকে ভিড় জমাত এলাকার বাসিন্দা সহ লাগোয়া এলাকার দুষ্কৃতীরা। ফলে বিষিয়ে উঠেছিল গোটা এলাকার পরিবেশ। কিন্তু সব জেনেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে জোট বেঁধে অবৈধ মদের ঠেক ভাঙলেন মহিলারা। মালদহের রতুয়ার বৈকুন্ঠপুরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। কয়েকশ মহিলা জোট বেঁধে গুঁড়িয়ে দেন দুটি মদের ঠেক সহ কয়েকশো মদের বোতল। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “জেলা জুড়েই পুলিশ বেআইনি মদের ঠেক ও জুয়া বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তার পরেও কোথাও যদি ঠেক চলে তা জানালে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। বেআইনি মদের ঠেক বন্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ অভিযোগ ঠিক নয়।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ৩টি বেআইনি মদের ঠেক চলতে থাকায় এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। মদ্যপদের জ্বালায় বাসিন্দাদের বিশেষ করে মহিলাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদ করলে উল্টে মদ্যপদের কটূক্তি, টিটকিরি হজম করতে হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে সমস্যার কথা জনানো হলেও ওই ঠেক বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেই এদিন শতাধিক মহিলা জোট বেঁধে চড়াও হয়ে ওই ঠেক ভেঙে দেন।
|
জেলা জুড়ে কংগ্রেস কর্মীদের থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভ আন্দোলনে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাটে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের গাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা সহ কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এদিন বিকেলে জেলার ৮ টি ব্লকে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হন। বালুরঘাটে দলের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে কর্মীরা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে থানা চত্বরের মধ্যে ঢুকে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।ওই বিক্ষোভ সমাবেশে টাউন কংগ্রেস সভাপতি রণতোষ তোকদার অভিযোগ করেন, “গত ১৫ নভেম্বর সকালে দুষ্কৃতীরা জেলা সভাপতির গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। সভাপতি গাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ৩ মার্চ বালুরঘাটে কংগ্রেস পার্টি অফিসের কাছে দলের ব্লক সম্পাদক রিন্টু তরফদারকে গুলি করে খুন করা হয়। ওই মামলায় মুল অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।”
|
হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া ৭০ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ.বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামপুর থানার পন্ডিতপোতা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধার নাম জারিনা বেগম। বাড়ি চোপড়া থানার দাসপাড়ার হাদলাগছ এলাকাতে.বুধবার রাতে ইসলামপুর থানার পন্ডিতপোতা এলাকাতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখে এলাকার লোকেরা ওই বৃদ্ধাকে রাতে এলাকার এক বাড়িতে আশ্রয় দেন।
|
বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের শিশু সন্তানকে কেড়ে নিয়ে বধূকে মারধরের অভিযোগে স্বামী, শ্বশুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের নাজিরপুর কালেক্টরি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত বধূকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল স্বামী সরিফুল ইসলাম, শ্বশুর আব্দুর রউফ। |