|
|
|
|
যোগাযোগ ব্যাহত মালদহ ও দুই দিনাজপুরে |
বেহাল দশ কিমিতে ভোগান্তি ৩ জেলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
প্রায় দুই বছর ধরে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের চুড়ামণ নতুন বাজার থেকে মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। ফলে, মালদহের চাঁচলের সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চাঁচল মহকুমার সঙ্গে দুই দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গে কম সময়ে যাতায়াতের জন্য প্রায় চার বছর আগে ইটাহার-চাঁচল সংযোগকারী মহানন্দা নদীর উপরে ৯ কোটি টাকা খরচে প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধন হয়। গত দুই বছর ধরে রাস্তা বেহাল হয়ে থাকায় সেই সেতু কাজে লাগছে। প্রতিদিনই দুই দিনাজপুরের বাসিন্দাদের বিভিন্ন যাত্রীবাহি ও ছোটগাড়িতে চড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মালদহ জেলার গাজল হয়ে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার ঘুরপথে চাঁচল মহকুমায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভাল রাস্তা হলে তাও বাসিন্দারা মেনে নিতেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে রায়গঞ্জ ও ইটাহার থেকে চাঁচলের আশাপুর গামী বহু ট্রেকার ও ভুটভুটি প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। গত এক মাসে ৩টি ট্রেকার ও ৪ টি ভুটভুটি উল্টে ১৭ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে বহুবার সমস্যার কথা জানানো হলেও রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে কেউ উদ্যোগী হননি। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার বলেন, “আমি নিজে চূড়ামণ বাজার থেকে মাধবপুর পর্যন্ত ওই ১০ কিলোমিটার রাস্তা পরিদর্শন করে এসেছি। রাস্তাটি পুরোপুরি বেহাল হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। টাকার অভাবে রাস্তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।” বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রশাসনিক উদ্যোগে প্রায় এক দশক আগে চূড়ামণ বাজার থেকে মাধবপুর পর্যন্ত পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। মহানন্দা নদীর ওপর কংক্রিট সেতু না থাকায় দুই দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চাঁচলের কম দূরত্বের সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের জেরে ১৯৯৫ সালে মহানন্দা নদীর ওপর কংক্রিটের সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ওই সেতুর উদ্বোধনও হয়েছে। সেতু তৈরির দেড় বছরের মধ্যে চূড়ামণ বাজার থেকে মাধবপুর পর্যন্ত ওই ১০ কিলোমিটার রাস্তা পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে ১০ কিলোমিটার রাস্তার পিচের চাদর উঠে গিয়ে চষা জমিতে পরিণত হয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা কংগ্রেস নেতা মোস্তাক আলম বলেন, “উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন ধরেই ওই রাস্তাটি মেরামত করার অনুরোধ করা হচ্ছে। তাতে লাভ হয়নি।” |
|
|
|
|
|