|
|
|
|
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত হবে পাহাড়ে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আর্জিতে সাড়া দিয়ে দার্জিলিং পাহাড়ে ফের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন জিটিএ-র প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র রোশন গিরি। বর্তমানে দার্জিলিঙে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তা ত্রিস্তর করতে হলে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। তাই রাজ্য সরকারের কাছে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান জিটিএ প্রতিনিধিরা।
জিটিএ প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র বলেন, “জিটিএ চুক্তির সময়েই ওই আর্জি জানিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারের তাতে নীতিগত আপত্তি নেই। কিন্তু, সে জন্য সংবিধান সংশোধন করা দরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। আমরা আশাবাদী দ্রুত দার্জিলিং পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করবে রাজ্য সরকার।”
এক সময়ে দার্জিলিঙে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা ছিল। সে সময়ে দার্জিলিং জেলা পরিষদের আওতায় ছিল শিলিগুড়িও। জিএনএলএফের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য চুক্তি করে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠনের পরে সেই ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। দার্জিলিঙে চালু হয় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। তখন জেলা পরিষদের জায়গায় গোর্খা পার্বত্য পরিষদই নিচের দুটি স্তর, যথাক্রমে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজে নজরদারি ও সহায়তা করত। সেই সময়ে আইন সংশোধন করিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ গঠন করা হয়। জিটিএ চুক্তির সময়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তরফে দাবি তোলা হয়, পাহাড়ে ফের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। মোর্চা নেতাদের যুক্তি, পৃথক ভাবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা চালু হলে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার থেকে বাড়তি বরাদ্দ মিলবে।
তবে পঞ্চায়েত বিধি অনুযায়ী, যে কোনও জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে। দার্জিলিঙের ক্ষেত্রে তা জিটিএ-র তত্ত্বাবধানে কাজ করবে নাকি বিকল্প কোনও ব্যবস্থা হবে তা অবশ্য পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। উপরন্তু, বর্তমানে দার্জিলিঙের জেলাশাসক পদাধিকার বলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। পাহাড়ে পৃথক জেলা পরিষদ হলে জেলাশাসককে দুটি দায়িত্ব সামালাতে হবে কি না তা নিয়েও সরকারি মহলে ভিাবনা চলছে।
জিটিএ এলাকার সব সরকারি স্কুল, কলেজ জিটিএ-র অধীনে আনার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে আবেদন জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। বিকাশ ভবনে গিয়ে ব্রাত্যবাবুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, “জিটিএ এলাকায় মধ্যশিক্ষা পষর্দ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইত্যাদি সংস্থার আঞ্চলিক অফিস খোলার জন্য আবেদন করেছি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।” শিক্ষামন্ত্রী এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাননি। এদিনও মোর্চার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন যে সব মামলা হয়েছে তা তোলার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি করা হয়।
|
|
|
|
|
|