ইডেন টেস্টের দিন পনেরো আগে পিচ কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের উপর রীতিমতো ফতোয়া জারি করে দিল ভারতীয় বোর্ড। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বোর্ডের বৈঠকে এক ঘর লোকের সামনে সিএবি কর্তাদের প্রবল ভর্ৎসনা করে বোর্ড প্রেসিডেন্ট কড়া ভাবে বলে রাখলেন, ইডেন কিউরেটরকে মুখ বন্ধ রাখতে! পিচ নিয়ে আর একটা কথাও বলা চলবে না।
ঘটনাটা কী? মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দেশজুড়ে ‘টার্নার’ চাওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীর আগেই বলেছিলেন, বোর্ড লিখিত কিছু না দিলে তিনি ঘূর্ণি উইকেটের রাস্তায় হাঁটবেন না। কিন্তু এ দিন তাঁর ওই একই বক্তব্য একটি সর্বভারতীয় কাগজে বেরিয়ে যাওয়ায়, ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন শ্রীনিবাসন। এ দিন পাকিস্তানের ভারত সফর সংক্রান্ত বৈঠক ছিল মুম্বইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে। সেখানে বোর্ড প্রেসিডেন্ট উপস্থিত সিএবি কর্তাদের কাছে জানতে চান, কোন অধিকারে এই কথা বলতে পারেন প্রবীর? বোর্ড চিঠি দিলেও সেটা কিউরেটরকে দেওয়া হবে কেন? প্রবীর কে? |
সিএবি কর্তাদের কেউ কেউ অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সুবিধা হয়নি। শ্রীনিবাসন বলতে থাকেন, এই একই কাণ্ড প্রবীর আগেও ঘটিয়েছেন। গত নভেম্বরে ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের সময়। কিন্তু এ বার ব্যাপারটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বোর্ডের ইচ্ছে-অনিচ্ছে নিয়ে মন্তব্য করছেন। শ্রীনিবাসনের সাফ কথা, পুরো ঘটনাটা সিএবি-র সামলানো উচিত ছিল, কিন্তু সেটা তারা করেনি। সিএবি কর্তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, প্রবীরকে চুপ থাকার নির্দেশ দিতে। ফের মুখ খুললে ভবিষ্যতে কড়া পদক্ষেপ নেবে বোর্ড। সিএবি কর্তাদের কেউ কেউ আবার প্রেসিডেন্টের সামনেই চিঠি দিয়ে প্রবীরকে নির্দেশ পাঠানোর কথা ভাবছিলেন। পরে ঠিক হয়, কলকাতায় ফিরে বলা হবে। বৈঠকে হাজির থাকা সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছিলেন, “এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটা আমরা দেখব।” কিন্তু তাতেও বা ঝামেলা পুরো মিটছে কোথায়? বোর্ড প্রেসিডেন্টের নির্দেশ শুনে ফোনে প্রবীর বলে দিলেন, “ক্যাপ্টেনই শুধু তা হলে কথা বলতে পারে? আমরা নই? কোথায় বলা আছে যে আমি কথা বলতে পারব না?”
|
ক্যাপ্টেনই শুধু তা হলে কথা বলতে পারে? আমরা নই? কোথায় বলা আছে যে আমি কথা বলতে পারব না?
প্রবীর মুখোপাধ্যায় |
|