নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কয়েক বছর আগেই শহরে অটো চালু করতে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। এর ফলে দু’দিকে সুফল মিলেছিল। এক দিকে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, অন্য দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি। যদিও প্রথমে এই উদ্যোগকে সহজে মেনে নেননি রিকশা চালকেরা। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। অটোর সংখ্যা কম থাকায় অটোচালকদের উপরে জুলুমবাজি চলারও অভিযোগ মিলেছে। এখন অবশ্য আর সেই সমস্যা নেই। দাবি এবং প্রয়োজন মেনে শহরে অটোর সংখ্যাও বেড়েছে। আর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ উঠেছে, অটোর দৌরাত্ম্য বাড়া নিয়ে। অভিযোগ, ঝুঁকি নিয়ে ভিড় রাস্তাতেও দুরন্ত গতিতে ছুটছে অটো, যাত্রী তুলছে অনেক বেশি, এমনকী বেআইনি কাজকর্মও চালিয়ে যাচ্ছে। এই সব খতিয়ে দেখতেই তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। প্রথম দিনেই ২১টি অটোকে ধরা হয়। কিছুক্ষণের জন্য অটো না মেলায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষও। এ দিকে অটো চালকেরাও এ দিন আরটিও অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন অকারণে অটো চালকদের হেনস্থা করছে। যদিও আরটিও সাফ জানিয়ে দেন, কাউকেই অকারণে হেনস্থা করা হবে না। উপযুক্ত নথি দেখালেই ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ত্রুটি ধরা পড়লেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে অবশ্য বিক্ষোভ প্রশমিত হয়। তল্লাশির পর রাত পর্যন্ত নিয়ম মেনে অটো চলেছে শহরে। |