বালিতে নিহত পরিবেশ-কর্মী এবং তৃণমূল নেতা তপন দত্তের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন বিরোধী বামফ্রন্টের নেতারা। স্বামীর খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমাদেবী। গত সপ্তাহেই তপনবাবুর ভাগ্নের উপরে হামলা হয়েছে। এই অবস্থায় প্রাণ সংশয়ে ভুগছে তপনবাবুর পরিবার। তাঁদের ভরসা দিতে আজ, শুক্রবার তপনবাবুর বাড়িতে যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের নেতৃত্বে বাম বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড় বছরের জমানায় এর আগে নিহত কোনও তৃণমূল নেতা বা কর্মীর বাড়িতে বাম নেতারা গিয়েছেন কি না, মনে করতে পারছেন না বাম বিধায়কেরাও।
জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যই গত বছর মে মাসে তপনবাবুকে প্রাণ দিতে হয়েছিল বলে
|
তপন দত্ত |
অভিযোগ উঠেছিল। খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল রাজ্যের এক মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক চার্জশিটে তাঁর নাম থাকলেও অতিরিক্ত চার্জশিট করে ওই মন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয় বলে সেই সময় বিতর্ক হয়েছিল। মন্ত্রীর নাম চার্জশিটে রাখার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ অফিসারকেও কিছু দিন আগে উত্তরবঙ্গে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তপনবাবুর খুনের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআই-কে দায়িত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার পর থেকেই প্রাণভয়ে আছে তাঁর পরিবার। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জন জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে তাঁদের হুমকি দিচ্ছে বলে বারবারই অভিযোগ করেছেন তপনবাবুর পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে বাইকে বাড়ি ফেরার পথে তপনবাবুর ভাগ্নে পিন্টু ধরের উপরে চপার নিয়ে হামলা হয়। তপনবাবুর খুনিরাই এই হামলার পিছনে আছে বলে অভিযোগ। গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তাঁরা কী রকম বিপদের মধ্যে আছেন, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করে কয়েক দিন আগে জানিয়ে গিয়েছেন প্রতিমাদেবী। তার পরেই সূর্যবাবুদের সিদ্ধান্ত, তাঁরা তপনবাবুর বাড়ি যাবেন।
ঘটনার পরে পরেই তপনবাবুর পরিবারের লোকজন মহাকরণে গিয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তি এবং নিজেদের নিরাপত্তা চাইতে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। সূর্যবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, “তপনবাবুর পরিবার ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাঁরা যে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন, বিধানসভায় আমরা তা নিয়ে আগে সরব হয়েছি।” |