|
|
|
|
ছটের দিন গুজব থেকেই পদপিষ্ট ১৮, দাবি সাক্ষীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ছট পুজোর দিন সোমবার ১৮ জন পুণ্যার্থীর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পিছনে ‘গুজব’ ছিল অন্যতম কারণ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে এমন তথ্যই জানতে পারছেন স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তারা।
এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ঘটনার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এ দিন সকালে পটনার জেলাশাসকের কার্যালয়ে ২২ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং সে দিন দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আমির সুবানি। এঁরা সকলেই ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন।
এ দিন স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার পরে সুনীতা দেবী বলেন, “কী ভাবে ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে চেয়েছেন।” তিনি জানান, এই ঘটনায় তাঁর আত্মীয় সুশীলা দেবীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কথায়, “গঙ্গায় পুজো দিতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় রটে যায় বাঁশের সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এমন সময় উল্টোদিক থেকে মহিলা এবং বাচ্চারা ছুটে আসছিল। আমরা ছিলাম রাস্তায়। সকলকে দৌড়তে দেখে আমরাও ছুট লাগালাম। গঙ্গায় যাওয়ার রাস্তাটি এতটাই সরু যে তাতেই বিপদ ঘটে যায়।” সে দিনের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখেমুখে তখনও আতঙ্ক। তিনি আরও বলেন, “এ দিক থেকে তখন অসংখ্য মানুষ পুজোর ডালি নিয়ে গঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। সেতু ভাঙার খবর রটে যাওয়ার পরে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। গঙ্গা ফেরত এবং সেদিকে যাওয়ার জন্য মানুষের হুড়োহুড়িতে ওই সরু রাস্তায় চাপা পড়ে যায় অনেকেই।”
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী মালতী দেবী। তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে সুনীতা দেবীর মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়। এ দিন মালতী দেবী এসেছিলেন ঘটনার সাক্ষ্য দিতে। স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা যখন পুজো দিতে যাচ্ছিলাম সেই সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক। রটে যায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। সেই আতঙ্কে লোকজন দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেয়। সঙ্গে আমার মেয়ে ছিল। কিছু ক্ষণ পরে মেয়েকে আমি খুঁজে পাইনি।”
মেয়ের শোকে কথা বলতে পারছিলেন না। কোনও রকমে বলেন, “যখন তাকে পেলাম, সে তখন আর নেই।”
এর মধ্যে ছটের দিন দুর্ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ। নয়াদিল্লিতে তিনি বলেছেন, “বিহার সরকারের অবহেলাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অসুরক্ষিত সেতু তৈরি করা হল। সেটা তার পর ভেঙে পড়ল। অতীতে এমন কখনও হয়নি।” |
|
|
|
|
|