|
|
|
|
ওভারব্রিজের দাবিতে ধোঁয়াচ্ছিল ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বছরের পর বছর ধরে বরাচক স্টেশনে ওভারব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কেউ তাতে কান দেয়নি। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পরে সেই ক্ষোভই উসকে উঠল। ওভারব্রিজ চেয়ে অবরোধে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের বরাচক জংশনে রেলস্টেশনের দু’পাশেই বসতি। সেখানকার লোকজনের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে বহু বার জানিয়েও লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বাপি দাস বলেন, “দু’পাশে ঘন বসতি আছে। দু’পাশের লোক নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে লাইন পারাপার করতে বাধ্য হন। ওভারব্রিজ থাকলে এই ঝুঁকি নিতে হত না।” এই অভিযোগ যে কতটা সত্যি, তা মালুম পড়ে এলাকায় গেলেই। স্টেশনের আপ এবং ডাউন প্ল্যাটফর্মে সংযোগ রাখার জন্য একটি ওভারব্রিজ আছে। কিন্তু স্টেশনের বাইরে আসা-যাওয়ার জন্য কোনও ওভারব্রিজ নেই। ফলে এলাকার বাসিন্দা বা যাত্রীদের কোনও লাভই হচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়েই লাইন পারাপার করতে হয়। মাঝে-মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে। |
ঝুঁকির পারাপার। ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |
আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ও দাবি সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, দুই প্ল্যাটফর্মের সংযোগকারী যে ওভারব্রিজ আছে, সেটিকেই দু’প্রান্তের বসতি এলাকায় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমি এ নিয়ে ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠকও করেছি। আবার কথা বলব।” উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সিপিএম আবার রেলের নজরদারিকেই দায়ী করছে। দলের আসানসোল জোনাল কমিটির সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁরা বহু বছর ধরেই ওভারব্রিজ বানানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু রেলের টনক নড়ছে না। কংগ্রেসের অন্যতম জেলা সম্পাদক রবিউল ইসলামের আশ্বাস, কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে ওভারব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে চিঠি লিখবেন।
এ দিন সাড়ে তিন ঘণ্টা রেল অবরোধের জেরে লক্ষাধিক মানুষের দুর্গতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আসানসোলের ডিআরএম এস এস গেহলোত। তাঁর মতে, অবরোধ করে সমস্যার সুরাহা হয় না। বরং বাসিন্দারা খোলা মনে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা করলে ভাল করতেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এলাকার বাসিন্দা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করি। এ ক্ষেত্রেও উদ্যোগী হব।” তবে ‘শুকনো’ আশ্বাসে বিশ্বাসী নন বাসিন্দারা। রেল অবরোধ তুলে নিলেও তাঁদের এক কথা, ওভারব্রিজ না হলে তাঁদের আন্দোলনে যেতেই হবে। রেল কী করে, আপাতত সে দিকেই তাঁরা চেয়ে রয়েছেন। |
|
|
|
|
|