একমাত্র চিকিৎসক বহির্বিভাগে রোগী দেখেন। ফার্মাসিস্ট থেকে নার্সের কাজ একা হাতে সামলাতে হয় চতুর্থ শ্রেণির একমাত্র কর্মীকে। ফলে বেশিরভাগ দিন চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হয় রোগীদের। শুধু পরিষেবা বেহাল নয়, সংস্কারের অভাবেও জীর্ণ দশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনের। দরজা-জানালাহীন ঘরে চলে আউটডোরের কাজ। মালদহের চাঁচলের চন্দ্রপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই দশায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। গত ৫ বছর ধরে এটাই ছবি। অথচ এটাই অন্তত ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল পরিষেবা নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছেন মালতিপুরের বিধায়ক। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্টও পাঠানো হয়। কিন্তু বছর গড়ালেও হাল ফেরেনি। আরএসপি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, “গত বছর ডিসেম্বরে বিধানসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখিত প্রস্তাব রাখি। স্বাস্থ্যভবনের তরফে আশ্বাসও মেলে। কিন্তু লাভ হয়নি। ভাবছি ফের চিঠি লিখব।” কেন কাজ হচ্ছে না তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও স্পষ্ট কিছু জানাতে পারলেন না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র বলেন, “সমস্যার কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে কথাও হয়েছে। আরও একজন চিকিৎসক দেওয়া হবে। আগের মতো দিনরাত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, চাঁচল-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও রতুয়ার একাংশ এবং ইটাহার ব্লকের কিছু মানুষ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো পরিষেবা পান না বলে অভিযোগ। অভিযোগ, একজন চিকিৎসক কয়োকশো রোগী দেখার সময় করে উঠতে পারেন না। ওষুধও ঠিক মতো মেলে না। অথচ বাসিন্দারাই জানান, এক সময় সমস্ত সুবিধা ছিল। চিকিৎসকরা আবাসনে থাকতেন। দিনরাত পরিষেবা মিলত। কিন্তু এখন দুপুর গড়ালেই দরজায় তালা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রইসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকলে ভাল পরিষেবা দেওয়া যেত।” |