টুকরো খবর |
স্কুলশিক্ষায় বাম জমানাকে তোপ রাজ্যপালের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে উচ্চশিক্ষার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বুধবার তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন স্কুলশিক্ষার হাল নিয়ে। এবং স্কুলশিক্ষার দৈন্যদশার জন্য নাম না-করে বিগত বাম সরকারকেই বিঁধলেন তিনি। তাঁর মতে, পরিকাঠামো বা মান কোনও ক্ষেত্রেই স্কুলশিক্ষার পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। এ দিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, “অতীতে উপেক্ষিত হওয়ার জেরে রাজ্যে স্কুলের পরিকাঠামোয় ঘাটতি রয়েছে। ক্লাসঘর, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, খেলাধুলোর জায়গা নেই। অভাব ভাল শিক্ষক-শিক্ষিকারও। পঠনপাঠনের মান সন্তোষজনক নয়।” রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ, নবম থেকে দশম শ্রেণিতে, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠতে বহু পড়ুয়াই ব্যর্থ হচ্ছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের তুলনায় সরকারি সাহায্যহীন বেসরকারি স্কুলের অবস্থা ভাল বলে মনে করেন নারায়ণন। আইসিএসই স্কুলগুলির সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুলস ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট’-এর একটি অনুষ্ঠানে এই অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যপালের মত মেনে নিতে রাজি নন বিগত বামফ্রন্ট সরকারের স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ দে। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বামফ্রন্টের আমলেই দায়িত্ব নেন। শিক্ষা নিয়ে যখন যেমন রিপোর্ট চেয়েছেন, তা দেওয়া হয়েছে। তখন উনি কিছু বলেননি। রাজ্যপাল এখন বর্তমান শাসক দলের মুখপাত্রের মতো কথা বললে কিছু বলার নেই!” বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য রাজ্যপালের বক্তব্যে সারবত্তা আছে বলে মেনে নিয়েছেন। সেই সঙ্গেই এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সীমাবদ্ধতার দিকটিও তুলে ধরেছেন তিনি।
|
লালবাতি নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনা, হুঁশ ফিরল রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গাড়িতে লালবাতির অপব্যবহার রোধে অবশেষে নড়ে বসল রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়ে পরিবহণ সচিব বি পি গোপালিকা জানালেন, কারা লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহারের অধিকারী তা জানিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেবে রাজ্য। বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ লালবাতি গাড়ির অপব্যবহার বন্ধ করতে রাজ্যকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের পরেও রাজ্য তেমন উদ্যোগ নেয়নি। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ। লালবাতির অপব্যবহার যে ক্রমশ বাড়ছে ও তার জন্য অপরাধমূলক কাজও বাড়ছে, ডিভিশন বেঞ্চ পরিবহণ সচিবের সামনেই তা জানায়। ৫ অক্টোবর তৎকালীন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ লালবাতির অপব্যবহারে রাজ্যের উদ্যোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে। আইনজীবী ইদ্রিশ আলির করা ওই মামলায় পরিবহণ সচিবকে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক জেলাশাসককে জানাতে হবে লালবাতি কারা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ জেলাতেও এর অপব্যবহার বাড়ছে। পাশাপাশি, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে লালবাতির অপব্যবহার রোধে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ২০০৬ থেকে লালবাতির অপব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা চলছে। বিভিন্ন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ লালবাতি নিয়ে বহু নির্দেশ দিলেও তা কমেনি। এখনও হাইকোর্টের দুই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলছে। হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এখনও তারা এক জনও লালবাতি অপব্যবহারকারীর সন্ধান পায়নি। আদালত-বান্ধব জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় কোর্টকে জানান, লালবাতির অধিকারী ব্যক্তিরা, তাঁদের পরিবার ও বন্ধুরা ব্যক্তিগত কাজেও লালবাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ান। পুলিশ দেখেও চোখ বুজে থাকে।
|
রাজ্যের সাংসদ বিধায়কদের চিঠি অধীরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আমরা-ওরার বিভাজন ভেঙে রেলের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যের সব সাংসদ ও বিধায়ককে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন নতুন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরি। অধীর-দুর্গ ভাঙতে তাঁর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ককে আজই মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে অধীরের এই সিদ্ধান্তকে পাল্টা চাল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রেল প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে রেলের প্রকল্পগুলি দেখার দায়িত্বে রয়েছেন অধীর। এ দিকে তিন মাস পরেই রেল বাজেট। তাই পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোন রেল প্রকল্প আশু প্রয়োজন, তা জানতে দল-মত নির্বিশেষে রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের চিঠি পাঠাবেন তিনি। অধীরবাবুর বক্তব্য, “প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত। বাজেটও প্রায় চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কোথায় কী প্রয়োজন, তা ঘুরে ঘুরে জানা সম্ভব নয়। তাই আমি চাইছি রাজ্যের স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে সাংসদ ও বিধায়করা পরামর্শ দিতে এগিয়ে আসুক। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু বা কেরলের নেতারা যদি রাজ্যের স্বার্থে এক হতে পারেন তা হলে আমরা কেন পারব না?”
|
শপথে অনুষ্ঠানে নেই বিরোধীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও রদবদলের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব থাকল না বিরোধী শিবিরের। রাজভবনে বুধবার দুপুরের ওই অনুষ্ঠানে বিরোধী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে আমন্ত্রণই করা হয়নি বলে দুই শিবিরের অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র কলকাতায় ছিলেন না। কিন্তু তাঁর দফতরে অনুষ্ঠানের আগের দিন পর্যন্ত আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি। এক বাম বিধায়কের কথায়, “মঙ্গলবারও আমন্ত্রণপত্র এলে আমাদের তরফে কাউকে পাঠানোর কথা ভাবা যেত। অনুষ্ঠানের দিন আর আমন্ত্রণ এসেছে কি না, খোঁজ নিতে ইচ্ছা হয়নি!” কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবেরও সাফ বক্তব্য, আমন্ত্রণ পাননি বলেই তাঁদের কেউ শপথ অনুষ্ঠানে যাননি।
|
দফতর বদল, ইস্তফা রবীন্দ্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকার গড়ার দেড় মাসের মাথায় স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে কৃষিমন্ত্রী করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে। দেড় বছরের মাথায়, বুধবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা রূপায়ণ দফতরে। তবে রবীন্দ্রবাবু ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী সেটি গ্রহণ করেছেন বলে অবশ্য খবর নেই। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের দফতরে সরিয়ে সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্য নেতা বেচারাম মান্নাকে কৃষির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, এমন কানাঘুষো শুনে মঙ্গলবারেই পদত্যাগপত্র দেন রবীন্দ্রবাবু। বুধবার রাতে বাড়িতে ফোন করা হলে জানানো হয়, তাঁর শরীর ভাল নেই। তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন।
|
ধিক্কার কংগ্রেসের |
আইন অমান্যের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধিক্কার দিবস পালন করবে কংগ্রেস। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বুধবারই ধর্মতলায় আইন অমান্য করে যুব কংগ্রেস। মৌসম বেনজির নূরের নেতৃত্বে। কেন্দ্রের উপর তৃণমূলের অনাস্থা আনতে চাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও পথে নামছে কংগ্রেস। মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, “অবনতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলার। শিল্প হচ্ছে না। প্রতিবাদে আন্দোলন করা ছাড়া পথ নেই।” প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, তৃণমূলের অনাস্থার প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে ধিক্কার দিবস পালন করবে কংগ্রেস।
|
সম্মেলন ফব-র |
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্মেলন হচ্ছে কলকাতাতেই। রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হবে। চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফব-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ বুধবার বলেছেন, ফ্রন্টকে রক্ষা করেই চলতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের মতো শরিক দলকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। অশোকবাবুর মতে, পায়ের তলার জমি শক্ত না-হলে কেউ গুরুত্ব দেবে না। জমি শক্ত করতেই আলোচনা হবে রাজ্য সম্মেলনে।
|
সেট-টপ মামলা |
সেট-টপ বক্স নিয়ে এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তমাল নাগ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের থেকে বিভিন্ন হারে মাসিক চার্জ নেওয়া হচ্ছে। বক্সের দামও সর্বত্র এক নয়। ফলে বিভ্রান্তি হচ্ছে। তমালবাবু দরিদ্রদের জন্য কম দামে ওই বক্স দেওয়ার আবেদনও জানান। |
|