টুকরো খবর
সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ
সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দাঁতন-১ ব্লকের চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাতমুণ্ডা গ্রামে। আহত হয়েছেন তৃণমূল ও সিপিএমের আট জন সমর্থক। তাঁদের কয়েকজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দাঁতন থানার আইসি মিহিরলাল নস্কর জানান, “উভয়পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।” সিপিএমের দাঁতন জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিল পট্টনায়ক জানান, এলাকা উন্নয়নের দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতষণ্ডা গ্রামে মিছিল ছিল। তাঁর অভিযোগ, “আচমকা প্রায় তিরিশটি মোটর বাইকে চেপে তৃণমূলের সমর্থকেরা রড, লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে মিছিলে হামলা করে। এতে দলীয় কর্মী বেনুধর নায়ক ও ত্রিলোচন মাইতি-সহ ছয় জন আহত হন। পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুলিশ চলে গেলে আবার বাইকবাহিনী ফিরে আসে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বামকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পরিকল্পিতভাবে ওই হামলা করা হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের দাঁতন-১ ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধানের বক্তব্য, “আমাদের কর্মী সন্তোষ পাত্রকে জোর করে দলীয় পতাকা ধরিয়ে মিছিলে হাঁটাতে চাইছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। প্রতিবাদে আমাদের সমর্থকরা সিপিএমের সশস্ত্র মিছিলকে প্রতিহত করেন। সেই সময় বচসা ও সামান্য মারারারি হয়েছে।”

পদের অন্য নামের দাবি
বেতন বৃদ্ধি নয়, বকেয়া মহার্ঘ ভাতাও নয়, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারেরা স্মারকলিপি দিলেন পদের নাম পরিবর্তনের দাবিতে। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানাতে এমনই স্মারকলিপি দিলেন স্টেট ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা। তাঁরা চান, তাঁদের পদের নাম হোক জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। সংগঠনের দাবি ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই এই নামেই রয়েছে পদটি। কিন্তু এ রাজ্যে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নামেই নিয়োগ হচ্ছে। আগেও এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল এই সংগঠন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই বুধবার রাজ্যের সমস্ত জেলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও স্মারকলিপি দেওয়া হল। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি আশিস হাজরা, সহ সভাপতি সমীর দত্তেরা। সমীরবাবু বলেন, “আমরা চাই দেশ জুড়ে একটি পদের নাম একই থাক। তা হলে শুনতেও ভাল লাগে। এই কারনেই নাম পরিবর্তনের দাবি জানালাম।”

নানা কর্মসূচি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির, কৃতী ছাত্র সংবর্ধনা, বস্ত্র বিতরণ-সব নানা কর্মসূচি নিয়েছিল কেশপুরের পাকুড়িয়া জাগ্রত প্রদীপ সঙ্ঘ। শনিবার ৪৩ জন রক্ত দিয়েছিলেন। আর মঙ্গলবার সকালের জন্য ছিল ৩০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। বিকেলে স্থানীয় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধণা। তারপর গরিব মানুষদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী তথা মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ ও রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক নির্মলেন্দু দে। ক্লাবের সম্পাদক সন্দীপ মণ্ডল জানান, প্রতি বছরই ক্লাবের পক্ষ থেকে বছরে একটা অনুষ্ঠান করা হয়। যে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া ও সকলের মধ্যে একটা সমাজসেবার আগ্রহ জাগানোর চেষ্টা।

বাড়িতে ঢুকে ছিনতাই শহরে
বৌভাতের আগের রাতে চুরি হয়ে দেল বরের বাড়িতে। গলার হার, ক্যামেরা, মোবাইল ও হাতঘড়ি নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন আবাসের যোগেন্দ্রনগরে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। এলাকাটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। বুধবার সকালে এলাকায় যায় পুলিশ। আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। খোওয়া যাওয়া জিনিসেরও হদিস মেলেনি। বলরাম সামন্তের ছেলের বিয়ে হয়েছে গত রবিবার। বুধবার ছিল বৌভাত। মঙ্গলবার রাতে ঘটনার সময় বাড়িতে জনা তিরিশেক সদস্য ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, গভীর রাতে বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। অন্তরা সামন্ত এবং রুনশ্রী প্রধান নামে দুই আত্মীয় একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁদের গলার হার ছিনতাই হয়। পরিবারের পক্ষে কৃশানু সামন্ত বলেন, “সব মিলিয়ে ২টি সোনার হার, ১টি ক্যামেরা, ২টি মোবাইল ও ১টি হাতঘড়ি চুরি গিয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীদের অন্তত একজন বাড়ির খুঁটিনাটি জানতেন। কোথায় ঘর রয়েছে, কোথায় সিঁড়ি রয়েছে, সবই ছিল তার নখদর্পণে। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অধিগৃহীত জমিতে শিল্প গড়ার দাবি
অধিগৃহীত যে জমি পড়ে রয়েছে সেখানে হয় শিল্প করতে হবে, না হলে জমি মালিকদের পেনশন দিতে হবে এমনই দাবি করল সিপিআই। বাম আমলে খড়্গপুর গ্রামীণে গড়ে ওঠা বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাকর্র্ নিয়ে বুধবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল খড়্গপুর মহকুমা প্রশাসন। সেখানেই এই দাবি জানানো হয়। বৈঠকে ছিলেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা, তৃণমূলের শক্তি মণ্ডল, সিপিএমের অসিত সরকার, সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট। ছিলেন শিল্পোন্নয়ন নিগম, জেলা ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরাও। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমই এখানে জমি অধিগ্রহণ করেছিল। পরে অধিগৃহীত জমির একাংশ বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়। তবে কিছু জমি পড়ে রয়েছে। সিপিআইয়ের দাবি, যে সব জমিতে এখনও শিল্প গড়ে ওঠেনি, সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের পেনশন দিতে হবে। বৈঠক শেষে বিপ্লববাবু বলেন, “শিল্প হবে বলেই কৃষকদের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। অধিগৃহীত জমির অধিকাংশই পড়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জমির মালিকদের পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে।” তৃণমূলের শক্তিবাবু বলেন, “জমি নিয়ে কোনও সংস্থা ফেলে রাখতে পারে না। সেখানে শিল্প করতে হবে। প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।” রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।

রাহুলকে আমন্ত্রণ
পশ্চিম মেদিনীপুরে আসার জন্য জেলা কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পি চিদম্বরম এবং রাহুল গাঁধীকে। বুধবার এ কথা জানান জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দাঁতন ২ ব্লকে জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্যই এঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। স্বপনবাবু বলেন, “বিভিন্ন উন্নয়মূলক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করে। তাতে কী কী কাজ হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের উন্নয়নে কী কী করছে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা করব। দাঁতনের জনসভায় উপস্থিত থাকার জন্যই পি চিদম্বরম এবং রাহুল গাঁধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” ইতিমধ্যে ‘লালগড় চলো’র ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ৮ ডিসেম্বর লালগড়ে জনসভা রয়েছে। সেখানে থাকার কথা জয়রাম রমেশের। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই কংগ্রেসের এই সমস্ত কর্মসূচি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

শোক মিছিল
বুধবার মেদিনীপুরে তাজিয়া।—নিজস্ব চিত্র।
মহরম উপলক্ষে তানজিমে হাসনায়নির পরিচালনায় বুধবার দুপুরে এক শোক মিছিল বেরোল মেদিনীপুর শহরে। শহরের মির্জ্জামহল্লা, ভীমচক, নিমতলা, অলিগঞ্জ, গোলকুঁয়াচক, বটতলা প্রভৃতি এলাকা হয়ে মিছিলটি ফের জোড়া মসজিদ সংলগ্ন মিনা ময়দানে আসে। মিছিলে ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব মানবতার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

শিশু উদ্যান উদ্বোধন
রেলশহরের তালবাগিচায় হাসপাতাল মাঠে মঙ্গলবার নতুন করে উদ্বোধন হল ক্ষুদিরাম শিশু উদ্যানের। স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে অব্যবহৃত উদ্যানটি নতুন রূপ পেল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জহরলাল পাল, অপূর্ব ঘোষ প্রমুখ। পাশাপাশি এ দিন শিশুদের জন্য ঢেঁকি, দোলনা-সহ নানা ক্রীড়া সামগ্রীরও উদ্বোধন করা হয়।

অঙ্গীকার-সভা
আগামী ২৯ নভেম্বর জেলা গ্রন্থাগারের সভাঘরে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার সভা করছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মেদিনীপুর শাখা। শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক বাবুলাল শাসমল জানান, মরণোত্তর দেহদানে অনেকে আগ্রহী হলেও এতদিন মেদিনীপুর শহরে বা জেলায় সংগঠিত ভাবে দেহদানের উদ্যোগ ছিল না। তাই এই আয়োজন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.