নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। বুধবার বোলপুর ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ এই নির্দেশ দেন। মঙ্গলের অনুপস্থিতিতে এ দিনও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা যায়নি।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে জানান, চিকিৎসা করাতে গিয়ে মঙ্গল সাহানি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে পালিয়েছে বলে এ দিন বোলপুর উপ-শোংধনাগার আদালতে রির্পোট পেশ করে। তা দেখে বিচারক পুলিশ সুপারকে ওয়ারেন্ট জারি করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। এ দিন বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্য এবং এনফিএফ কর্মী মেঘদূত দাসের সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। তাঁরা হাজির হলেও সাক্ষ্য নেওয়া যায়নি।
সোমবার ওই মামলার চতুর্থ দফার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে কেন হাজির করানো হয়নি, তার রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনে বাগানপাড়ার বাড়িতে খুন হন মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার (৭৮)। তদন্তে নেমে পুলিশ বাগানপাড়ার বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার, এলাকার পরিচিত দূষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে একে একে গ্রেফতার করে। মঙ্গলের মাঝে মধ্যেই পেটে যন্ত্রণা হত। কিছু দিন তাকে সিউড়ি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। একাধিক বার সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেও সে ধরা পড়ে যায়। এর পর তাকে বোলপুর উপ-সংশোধনাগারে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের অসুস্থতার কথা জানানোয়, গত ৫ অক্টোবর তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সেখান থেকে ছেড়ে দিলে মঙ্গলকে বর্ধমান সংশোধনাগারে রাখা হয়। ফের পেটে যন্ত্রণার কথা বলায় ১৫ অক্টোবর রাতে একটি ভাড়াগাড়িতে মঙ্গলকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যান দুই কারারক্ষী। সেই সময় সে পালিয়ে যায় বলে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি। ওই দুই কারারক্ষীকে সাসপেন্ডের পাশাপাশি শো-কজ করা হয় বর্ধমান জেলের সুপার মেইয়ামোদো গুঁইকেও। |