কোচবিহারের রাসমেলার ২০০ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মেলা সূচনার স্মৃতিবিজড়িত ভেটাগুড়িতে করার দাবিতে সরব হল নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার দলমত নির্বিশেষে বাসিন্দাদের তরফে গড়া নাগরিক কমিটির ব্যানারে কোচবিহারের জেলাশাসককে বিষয়টি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ভেটাগুড়ি নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮১২ সালে মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে রাজবাড়ি নির্মাণ করেন। সেই উপলক্ষে রাজবাড়িতে প্রবেশ উপলক্ষে ভেটাগুড়িতে প্রথম রাসমেলার সূচনা হয়। পরে রাজবাড়ি ও রাজধানী স্থানান্তরিত হলে ওই মেলা কোচবিহার শহরে হচ্ছে। এবার ওই রাসমেলার দুশো বছর পূর্তি হলেও মেলার সূচনা স্থল ভেটাগুড়িতে প্রশাসন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেয়নি। ওই প্রসঙ্গেই রাসমেলার সূচনাস্থলের প্রতি ওই উপেক্ষার অভিযোগ মিটিয়ে প্রাচীন ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে দাবি তুলেছেন তাঁরা। ভেটাগুড়ির নাগরিক কমিটির তরফে ধীমান অধিকারী বলেন, “মেলার দুশো বছর পূর্তি ঘিরে কোচবিহার শহরে জমকালো অনুষ্ঠান হলেও ভেটাগুড়িকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। অথচ ভেটাগুড়িতেই প্রথম ওই মেলার সূচনা হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরার ব্যাপারে তো বটেই, রাজাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও তাই এমন উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি জানান, তাই দলমত নির্বিশেষে নাগরিক কমিটি গড়ে এবারের মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা ভেটাগুড়ি থেকে ঘোষনার ব্যাপারে আর্জি জানিয়ে এদিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই দাবির ব্যাপারে কি পরিকল্পনা নেওয়া যায় তা দেখা হবে।” নাগরিক কমিটির দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের স্থানীয় নেতৃত্বের সই রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রসের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাসিন্দাদের আবেগের যৌক্তিকতা রয়েছে। ভেটাগুড়ির বাসিন্দাদের ওই দাবির ব্যাপারে পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। জেলাশাসকের সঙ্গেও শীঘ্রই ওই ব্যাপারে কি করা যায় তা নিয়ে কথা বলব।” |