তিস্তার ডান হাতি খাল কাটার কাজ থমকে যাওয়ায় হলদিবাড়ি ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু, জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে ওই কাজ থমকে গিয়েছে বলে তিস্তা সেচ প্রকল্পের তরফে দাবি করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের অন্যতম মুখ্য বাস্তুকার সুকুমার নস্কর বলেন, “ডান হাতি খাল কাটার কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার। সেটা দিল্লিতেও জানানো হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার জেলাশাসকদের আমাদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।:: তিস্তা সেচ প্রকল্পের অভিযোগ, দুই জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মিলছে না।
জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র জানান, কয়েক মাস আগে যে সমস্ত সমস্যার কথা জানানো হয় তার সমাধান করা হয়েছে। নতুন কোন সমস্যার কথা তাঁর জানা নেই বলে জেলাশাসক জানান। কোচবিহার জেলার জেলাশাসক মোহন গান্ধী বলেন, “সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
তিস্তার ডান দিকের মূল খালটি জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়ে কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকে ঢুকেছে।পরিকল্পনা অনুযায়ী, হলদিবাড়ি ব্লকের সীমান্তবর্তী হেমকুমারী পর্যন্ত মোট ৫৯ কিলোমিটার লম্বা খাল কাটার কথা। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে ৪৬ কিলোমিটার এবং কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের মধ্যে মধ্যে ১৩ কিলোমিটার খাল কাটার কথা।
তিস্তা সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার খাল কাটা হয়েছে। তবে তা একটানা কাটা হয়নি। যেখানে যেমন জমি পাওয়া গিয়েছে, তেমনভাবে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছে। না কাটা অংশের পরিমাণ ১৩ কিলোমিটার। জলপাইগুড়ি জেলায় যেখান দিয়ে খাল কাটার কথা, সেখানে কিছু খাস জমিতে পাট্টা দিয়ে আগে বহু পরিবারকে বসানো হয়েছে। তারা এখন সেখান থেকে উঠতে চাইছেন না।
রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের কিছু জায়গায় জমি অধিগ্রহন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে একই জমির মালিক অনেকে থাকার ফলে এক পক্ষ জমি দিতে চাইলেও অন্যরা তা দিতে রাজি নন। দুটি জেলায় জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এরকম ৪৬টি সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাগুলির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ডান হাতি খাল কাটার কাজ বন্ধ থাকছে। ফলে, চাষের জল পাবেন না জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকেরা। |