নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান সিপিএমকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তৃণমূল যে বামেদের থেকে বেশি বামপন্থী নয়, মানুষকে তা বোঝাতে চায় আলিমুদ্দিন।
মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, “বামপন্থী কথা বললেই কেউ বামপন্থী হন না।” তৃণমূল অতীতে খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ছিল না, তা জানিয়ে বিমানবাবু বলেন, “এনডিএ-র আমলে যখন খুচরো ব্যবসায় এফডিআই-এর প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তখন তৃণমূল এনডিএ-র শরিক। কিন্তু প্রতিবাদ করেনি। এমনকী, ইউপিএ-১ এর সময়ে যখন কংগ্রেস এফডিআই আনার চেষ্টা করেছিল, তখন বামেরা নোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী বিবৃতিও দেননি।”
বিমানবাবুর দাবি, তাঁরা বরাবরই খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল হঠাৎ করেই এফডিআই-এর বিরোধিতা শুরু করেছে। মানুষের কাছে এটাই প্রচার করবে সিপিএম। যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তকে ফোন করছেন বা আলিমুদ্দিনে যাওয়ার কথা বলছেন, তাতে মানুষের একাংশ বিভ্রান্ত হতে পারে বলে সিপিএমের আশঙ্কা। বিমানবাবুর কথায় তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, “যে হেতু তৃণমূল ইউপিএ-২ থেকে বেরিয়ে এসেছে, তাই জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির কুম্ভীপাক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।” কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূল একই শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে বলেও বিমানবাবু মন্তব্য করেন। অর্থাৎ বিমানবাবুর মতে, মমতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এফডিআই বিরোধিতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তিনি তা নন। মমতার বামপন্থী ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টাকে হিটলারের বামপন্থী হওয়ার চেষ্টার সঙ্গে তুলনা করেন বিমানবাবু। |