নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
লালবাতি গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কেন পালিত হল না, আজ বুধবার আদালতে হাজির হয়ে তা জানাতে হবে পরিবহণসচিব বি পি গোপালিকাকে। পুজোর ছুটির আগেই বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে সমস্ত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে লালবাতি গাড়ি বা ফ্ল্যাশার ব্যবহারের অধিকারী কারা, তা জানাতে নির্দেশ দেয়। বেআইনি লালবাতি ব্যবহার নিয়ে কত জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা-ও কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে জানাতে বলে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার লালবাতি সংক্রান্ত মামলাটির শুনানির সময়ে হাইকোর্ট জানতে পারে দু’মাস পরেও রাজ্য সরকার জনগণকে সচেতন করার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়নি। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চকে রাজ্য সরকার জানায়, তারা লালবাতি ব্যবহারকারীর তালিকায় আরও কিছু পদাধিকারীকে যুক্ত করতে চায়। সেই তালিকা তৈরি হলে তখনই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। বিচারপতি অসীম রায় বলেন, এখনকার তালিকা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দিতে বলা হয়েছিল। |
নিয়ন্ত্রণ। গাড়িতে লালবাতির অপব্যবহার নিয়ে পরিবহণসচিবকে তলব কোর্টে। —নিজস্ব চিত্র |
অন্য দিকে, বেআইনি লালবাতি ব্যবহার করার জন্য কলকাতা পুলিশ ৫ জনকে ধরেছে বলে জানালেও রাজ্য সরকার এক জনকেও ধরতে পারেনি। অথচ আদালত নিযুক্ত আদালত-বান্ধব জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা বলছে প্রতিদিন কলকাতায় লালবাতি গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে বেআইনি গাড়ি বুঝতে পারলেও এড়িয়ে যায়। কারণ ধরতে গেলে সেই পুলিশকর্মীকেই হয়তো চাকরি ক্ষেত্রে বিপদে পড়তে হবে। বেআইনি লালবাতি ব্যবহারের দু’একটি উদাহরণ দেন জয়ন্তবাবু। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অসীম রায় পরিবহণসচিবকে আদালতে হাজির হয়ে লালবাতি গাড়ির অপব্যবহার বন্ধে সরকার কী করছে, তা জানাতে বলেন। |