ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পিচের উপর ‘খবরদারি’ দেখে রীতিমতো আশ্চর্য তিনি। বুঝে পাচ্ছেন না, ধোনি এটা কী ভাবে বললেন! তাঁর ক্রিকেটদর্শন বলে, কিউরেটরদের উপর এ ভাবে কোনও অধিনায়কের নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে চাপিয়ে দেওয়া ক্রিকেটের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ বিজ্ঞাপন। তাঁর মতে, যে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চাইবে, সে সব উইকেটে খেলেই সেটা করবে। বাছাই করা পিচে নয়।
মোতেরার পিচ নিয়ে ভারত অধিনায়কের মন্তব্য শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ স্টিভ ওয়। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক যা নিয়ে একহাত নিয়ে রাখলেন ভারত অধিনায়ককে।
বিতর্কের সূত্রপাত, আমদাবাদ টেস্টের শেষ দিন। মোতেরায় ইংল্যান্ডকে সাড়ে চার দিনে উড়িয়ে দিলে কী হবে, পিচের চরিত্রে খুশি নন ভারত অধিনায়ক। টেস্ট শেষ হতে না হতেই বলে দিয়েছেন, তিনি এমন উইকেট চান যেখানে প্রথম থেকে বল ঘুরবে। অর্থাৎ, পুরোদস্তুর টার্নার। যা মেনে নিতে পারছেন না স্টিভ।
“সকালে ধোনির কথাগুলো পড়ে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। ক্রিকেট খেলাটারই খারাপ বিজ্ঞাপন হল এতে। কোন যুক্তিতে যে ও কিউরেটরদের বলছে ওর ইচ্ছেমতো পিচ বানাতে বুঝতে পারছি না,” বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণযুগের অধিনায়ক। সঙ্গে যোগ করেছেন, “তোমাকে যদি নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হয়, তা হলে সব ধরনের উইকেটে জেতাটা শিখতে হবে। সব জায়গায় তো পছন্দমতো পিচ পাওয়া যাবে না।” |
ধোনিকে পালটা দিতে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন স্টিভ। তাঁর সাফ বক্তব্য, তিনি নিজে অধিনায়ক থাকার সময় পিচের চরিত্র নিয়ে কখনওই মাথা ঘামাননি। “সাতন্নটা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করেছি আমি। মনে পড়ে না, এক দিনও কিউরেটরকে ডেকে বলেছি, আমার অমুক পিচ চাই। পিচ কেমন হবে, তা নিয়ে কখনওই মাথা ঘামাইনি আমি।” তবে ধোনিকে কথা শোনালেও ভারতকেই সিরিজে একতরফা এগিয়ে রাখছেন স্টিভ। বলে দিচ্ছেন, ৩-০ জিতবে ভারত। “সিরিজ ভারতের জেতা নিয়ে সন্দেহ নেই। ৩-০ জিতবে। কারণ পিচের চরিত্র ওদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই। আর ভারতে ভারতকে হারানো সহজ নয়। তা ছাড়া অনেক ভাল ভাল তরুণ উঠে আসছে। পূজারা ডাবল সেঞ্চুরি করছে। কোহলি ভাল খেলছে। ওঝা উইকেট নিচ্ছে,” যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্টিভ। ২০০১-এ যাঁর অশ্বমেধের ঘোড়াকেও সৌরভের ভারত ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল। ‘ব্রাউনওয়াশের’ গন্ধ পাচ্ছেন আর এক প্রাক্তন অধিনায়কও। পাকিস্তানের রামিজ রাজা। বলেছেন, “মুম্বইয়ে ভারত জিতলেই তো অনেকটা এগিয়ে যাবে। ৪-০ জিততে তখন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ভারত চারটে টেস্টই জিততে পারে। মুম্বইয়ে বল আরও ঘুরবে বলেই মনে হয়।” |